ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : নোয়াখালীর মাইজদীতে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় অস্ত্র হাতে ৩ যুবকের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

গত রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা শহর মাইজদীতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে তিন যুবককে অস্ত্র হাতে ৩৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়।

ওই ভিডিও চিত্রে দেখা যায় ১০-১২ সহযোগী বেষ্টিত অস্ত্রধারী এক যুবক প্রতিপক্ষের দিকে গুলি করছেন এবং বাকী ২ জন প্রতিপক্ষদের ধাওয়ার মুখে অস্ত্রহাতে অন্য সহযোগীদের সাথে দৌঁড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। সোমবার ফেসবুকে অস্ত্রধারীদের ভিডিওটি ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এতে স্থানীয় সচেতন মহল গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং অস্ত্রধারীদের চিহিৃত করে দ্রত আইনের আওতায় আনার এবং অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানান।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিন জানান, অস্ত্রধারীদের একটি ভিডিও তিনি দেখেছেন। পুলিশ অস্ত্রধারীদের চিহিৃত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলের দিকে নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিহাব উদ্দিন শাহীনের অনুসারীদের মধ্যে শহরের জামে মসজিদ মোড় এলাকায় পাল্টাপাল্টি হামলা ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় একরামুল করিমের অনুসারীরা জামে মসজিদ মোড়ের উত্তর দিকে অবস্থান নেয়। একই সময়ে শাহীনের অনুসারীরা জামে মসজিদের দক্ষিণ দিকে জিলা স্কুলের সামনের সড়কে অবস্থান নেয়।

উল্লেখ্য, নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ মেহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী, নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহীদ উল্যাহ খান সোহেল ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন শাহীনের অনুসারীরা দলীয় অন্ত কোন্দলের জের ধরে আলাদাভাবে নিজেদের কর্মসূচি পালন করে আসছে। এক পর্যায়ে বিবাদমান তিনটি গ্রুপের অনুসারী নেতাকর্মিরা তাদের সোমবারের পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে সফল করতে রবিবার বিকেল থেকেই জেলা শহরে অবস্থান নেয়। এ সময় তিন গ্রুপের অনুসারী নেতাকর্মী জেলা শহরে পথ সভা, মিছিল করলে ত্রিমুখী উত্তেজনা ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এবং প্রাণহানির আশঙ্কা দেখা দিলে জেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। এরপর সোমবার ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করলে পুলিশ একরাম অনুসারী ১১জনকে আটক করে।

(এস/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২১)