ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : নোয়াখালীর চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হকের সরকারি মোবাইল নম্বর ক্লোন করে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ৪ লাখ টাকা।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী উপজেলার ৪নং চরওয়াপদা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.মনির আহমেদ (৬৪) চরজব্বর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং আগামী নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো.মনির আহমেদের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে দুটি নাম্বার থেকে কল আসে। এ সময় কল দাতা নিজকে অফিসার ইনচার্জ চরজব্বর থানা বলে পরিচয় দিয়ে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদেরকে ম্যানেজ করার উদ্দেশ্যে তার নিকট টাকা চায়। এরপর তিনি সাথে থাকা আরেক ব্যক্তিকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নোয়াখালী পরিচয় দিয়ে বলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের পরামর্শমত অন্যান্য অফিসারদেরকে ম্যানেজ করার জন্য চার লক্ষ টাকা পাঠানোর জন্য বলেন। ওসি পরিচয় দানকারী ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ব্যক্তিগত ৮টি বিকাশ নম্বরে মনির চেয়ারম্যান পঞ্চাশ হাজার টাকা করে চার লক্ষ টাকা প্রেরণ করে। টাকা পাঠানের পরে ওসি পরিচয় দান কারি প্রতারক ব্যক্তি রাত ৯টার দিকে চেয়ারম্যানকে থানায় এসে পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে বলেন। রাত ৯টার দিকে চেয়ারম্যান থানায় এসে প্রকৃত ওসির সাথে কথা বলে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন।

চর জব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জিয়াউল হক এ সব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি আরও জানান, আজ দিনের বিভিন্ন সময় আমার ব্যবহৃত সরকারি মোবাইল নম্বরটি (০১৩২০১১১১৬৩) ক্লোন করে একাধিক ব্যক্তিকে বিভিন্ন ভাবে প্রতারিত করার খবর ভুক্তভোগী কয়েকজন সরাসরি থানায় এসে জানান।

তিনি আরো জানান, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তিনি সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান করেন।

(এস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১)