রবিউল ইসলাম, গাইবান্ধা : গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার  পৌরসভার বাঁশকাটা মৌজার জেএল নং-৩৮, দাগ নং-৩১০ এর আংশিক ও ৩১৭ দাগের অধিগ্রহণকৃত মোট ১৩.৫ শতক জমি ও স্থাপনার ক্ষতিপূরণের টাকা বুঝিয়া পাইয়া নিজ উদ্যোগে জমিতে থাকা স্থাপনা অপসারণ করছেন সুবিধাভোগীরা। 

উপকারভোগী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পলাশবাড়ীতে ফোরলেন রাস্তা সম্প্রসারণের লক্ষে সরকার কর্তৃক পলাশবাড়ী উপজেলার পৌরশহর এলাকার বাঁশকাটা মৌজার জাতীয় মহাসড়ক সংলগ্ন জেএল নং-৩৮, দাগ নং-৩১০ (আংশিক) ৩ শতাংশ ও ৩১৭ দাগের ১০.৫ শতাংশ মোট সাড়ে ১৩ শতাংশ জমি অধিগ্রহণের নিমিত্তে গত ২০ মে ২০২১ইং তারিখে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা কর্তৃক এক নোটিশে ওই মৌজার আব্দুল মালেক, আঃ খালেক, উভয়ের পিতা-আবুল হোসেন, মোঃ রাসেল, তৌহিদুল ইসলাম, মোবাইদুল ইসলাম, শাফিদুল ইসলাম, শাকিদুল ইসলাম ও মাতোয়ারা বেগম, সকলের পিতা মৃত ডাঃ রজ্জব আলী প্রধান জমিসহ জমিতে থাকা স্থাপনার ক্ষতিপূরণের টাকা গ্রহণের নিমিত্তে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ডাকা হয়। কাগজপত্র পর্যালোচনা সাপেক্ষে উপরোক্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণের টাকা ১৩ জুন ২০২১ উত্তোলনের জন্য বলা হয়। সে মোতাবেক সুবিধাভোগীরা ক্ষতিপূরণ বাবাদ ৬০ লাখ ১০ হাজার ১শ ৪৬ টাকা ১৬ পয়সা বুঝিয়া পাইয়া তাদের নিজ উদ্যোগে ওই দাগ খতিয়ানে থাকা প্রধান মার্কেট নামে নির্মিত স্থাপনা অপসারণ করছেন।

এ ব্যাপারে সুবিধাভোগী মৃত ডাঃ রজ্জব আলী প্রধানের পুত্র রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী মোবাইদুল ইসলাম জানান, গত ২২ আগস্ট ২০২১ সরকারী নোটিশ পাওয়ার পর আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হইয়া নিজ উদ্যোগে আমরা উপরোক্ত ৩১০ দাগের আংশিক ও ৩১৭ দাগের অধিগ্রহণকৃত জমির উপরে থাকা স্থাপনা সরিয়ে ফেলছি। ছবি সংযুক্ত।

(আর/এসপি/সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১)