রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে দেশের দক্ষিন পশ্চিম উপকূলে জনমানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে উল্লেখ করে এ এলাকায় জরুরীভাবে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ঘন ঘন ঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও নানা দুর্যোগে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাটসহ উপকূলের এসব জেলার মানুষের জীবনযাত্রা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। জলাবদ্ধতার কারনে মানুষ এখান থেকে উদ্বাস্তু হয়ে আশ্রয় নিয়েছে শহরে বন্দরে। 

দক্ষিণ উপকূলের এই ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে রোববার ঢাকা থেকে আসা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ সরেজমিন পরিদর্শন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে ‘উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন’ এর প্রতিনিধি হিসাবে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এই তথ্য তুলে ধরেন। সাতক্ষীরার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, পলাশ আহসান, সাজ্জাদ হোসেন, গাজী শাহনেওয়াজ, শাকিলা সুলতানা, টিমুন বড়ুয়া, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদ মোহাম্মদ আলী সুজন, মোহন কুমার মন্ডল, অধ্যক্ষ আনিসুর রহিম প্রমুখ।

উপকূলের মানুষের জীবনযাত্রা নদীর নোনা পানির জোয়ার ভাটায় ডুবছে আর ভাসছে এমনটি জানিয়ে তারা বলেন, দুই বছর ধরে তাদের অনেকেই কখনও বাঁধে কখনও গাছে এবং কখনও পানিবদ্ধ বাড়িতে দিন কাটিয়েছেন। অনেককে বারবার বাড়িঘর সরাতে হয়েছে। খাবার পানির সংকট ও কর্মসংস্থানের অভাবে মানুষ হচ্ছে উদ্বাস্তু। সাম্প্রতিক সাইক্লোন ইয়াশ, আম্পান এবং তার আগে আইলা ও সিডরের আঘাতে দক্ষিণ উপকূলের এসব মানুষের জীবনের নিরাপত্তা বারবার বিঘ্নিত হয়েছে। এরই মধ্যে আশাশুনির প্রতাপনগরে আবারও বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। সরকার উপকূলবাসীর উন্নয়নে ১৫ নং পোল্ডারের বিপরীতে ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন জানিয়ে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মান না হওয়া পর্যন্ত উপকূলের মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারবে না।

(আরকে/এসপি/সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১)