বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় প্রায় এক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে সমস্ত করাতকল (স’মিল)। এতে ঘরবাড়ি, আসবাবপত্রসহ দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় কাঠ চেরাই করতে না পেয়ে চরম দুর্বেগে পড়ে এলাকাবাসী। এসব বন্ধ করাতকল দ্রুত চালুর দাবিতে মালি-শ্রমিক ও ভুক্তভোগীরা মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন। রবিবার সকালে শরণখোলা প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচী পালন করেন তারা। 

মানববন্ধন কল মালিক ও শ্রমিকরা বলেন, শরণখোলা উপজেলা উপকূলবর্তী একটি অঞ্চল। প্রতিবছর একাধিবার ঝড়-জলোচ্ছাসে এখানকার অসংখ্য ঘরবাড়ি-গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য কাঠ চেরাইয়ের একমাত্র মাধ্যম এই করাতকল। হঠাৎ করে সুন্দরবনের ১০কিলোমিটারের মধ্যে কোনো করাতকল থাকতে পারবে না মর্মে এক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে বন বিভাগ। এর পর থেকে সমস্ত কল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়ে মানুষ।

বক্তারা, করাতকল আইন সংশোধন এবং সুন্দরবন থেকে দূরত্ব কমিয়ে ৫মিলোমিটার নির্ধারণ করে দ্রুত বন্ধ করাতকলগুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানান।

মানববন্ধনে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রায়হান উদ্দিন শান্ত, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ আসাদুজ্জামান মিলন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এম সাইফুল ইসলাম খোকন, জাতীয় পার্টির সভাপতি গাজী বদরুজ্জামান আবু এবং যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবুল হোসেন নান্টু উপস্থিত থেকে করাতকল মালিক ও শ্রমিকদের দাবির সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাতকলসহ সব ধরণের মিল-কলকারখানা স্থাপন বন আইনে নিষিদ্ধ। এরই আলোকে গত ১৭ আগস্ট সুন্দরবন বিভাগ এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এলাকায় মাইকিং করে সমস্ত করাতকল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। সেই থেকে শরণখোলা উপজেলার প্রায় অর্ধশত করাতকল মালিক তাদের মিল বন্ধ রাখেন।

(এসএকে/এসপি/সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১)