পঞ্চগড় প্রতিনিধি : করোনা ইস্যুতে বন্ধ থাকা সারা দেশের ন্যায় পঞ্চগড়ের সকল ধরনের শিক্ষা  প্রতিষ্ঠান ১২ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে। ক্লাস চালুর প্রথম দিনে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক -শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা গেছে।        

পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন পোষাক,কাঁধে ঝুলোনা ব্যাগ,মূখে মাক্স পরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠান আঙ্গিনায় প্রবেশ,ক্লাসে দূরত্ব বজায় রেখে আসন গ্রহণ সত্যি এক শৃঙ্খলাবোধের বহিঃপ্রকাশ। ১২ সেপ্টেম্বর জেলার শহর ও গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরজমিনে পরিদর্শনকালে এই চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে।পঞ্চগড় জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলাদা আলাদা মনিটরিং টীম গঠন করে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন।

এ ব্যাপারে পঞ্চগড় জেলা শিক্ষা অফিসার মো. শাহীন আকতারে সাথে কথা হলে তিনি জানান, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো জীবন্ত হয়ে ওঠেছে।পরিচ্ছন্ন পরিবেশ,স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন জ্ঞান দান করছে, যা পরবর্তী যে কোন মহামারী মোকাবেলায় কাছে লাগবে।’

এ ব্যাপারে পঞ্চগড় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষা-শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রাণ চাঞ্চলতা ফিরে এসেছে।পরিচছন্ন পরিবেশ, স্বাস্থবিধি মেনে চলার অভ্যাস শিশুদের মাঝে প্রভাব ফেলবে।’

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলার প্রথমদিনে পঞ্চগড় জেলায় গড় উপস্থিতির হার ছিল, প্রাথমিকে ৮৮.৪৫শতাংশ। মাধ্যমিক শহরাঞ্চলের ৯৬ শতাংশ, গ্রামাঞ্চল ৬২.৫০শতাংশ। মাদ্রাসার এবতেদায়ী ৫০শতাংশ, মাধ্যমিক ৪০শতাংশ এবং আলীম শাখায় ৩০ শতাংশ।

পঞ্চগড় বিষ্ণুপ্রসাদ (বি পি) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জোবায়ের ইসলাম জানান, মন্ত্রণালয়ের ১৯টি নির্দেশনা যথাযথ অনুসরণ করে প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে।

পঞ্চগড় বিষ্ণুপ্রসাদ (বি পি)সরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে বলে, অনেকদিন পর স্কুলে আসলাম, ভাল লাগছে, করোনা ইস্যুতে আর যেনো স্কুল বন্ধ না হয়।

পঞ্চগড় গার্লস স্কুলের সপ্তম শ্রেণির বর্ণ জানায়, করোনায় আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিদিন ক্লাস করতে চাই, করোনার বেড়ে গেলে দেশের সবকিছুই বন্ধ করলেও যেনো স্কুল বন্ধ না হয়।

সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা গেছে বয়েস স্কুলগুলোর চেয়ে গার্লস স্কুলগুলোতে উপস্থিতির হার ভালো। আবার মাধ্যমিকের চেয়ে প্রাথমিকের উপস্থিতি ছিলো সন্তোষজনক।তবে গ্রামাঞ্চলের মেয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল তুলনামুলকভাবে অনেক কম।

(আর/এসপি/সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১)