আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতকে তার মানসিকতা পরিবর্তন করে বাংলাদেশের বাজার ও উৎপাদন সক্ষমতার সুবিধা নেওয়া এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আনা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। তার মতে, বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক সুযোগ হিসেবে নেওয়া এবং বহুমাত্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা উচিত ভারতের। খবর ইকোনমিক টাইমসের।

সম্প্রতি ভারতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় থিংক ট্যাংক অনন্ত অ্যাস্পেন সেন্টারের আয়োজনে এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, উন্নত বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও ব্যবসা (দ্বিপাক্ষিক) সম্পর্ককে আরো স্থিতিস্থাপক করে তুলতে পারে।

তিনি জানান, বাংলাদেশে অন্তত সাড়ে তিনশ ভারতীয় প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত রয়েছে, যারা ৩৫০ কোটি ডলারের বেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) করেছে। দোরাইস্বামী বলেন, আমাদের অটোমোবাইল, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও মৎস্য চাষের মতো দ্রুত প্রতিক্রিয়াশীল এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রগুলোকে লক্ষ্য বানাতে হবে।

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, জ্বালানি হচ্ছে আঞ্চলিক সহযোগিতার পরিচালক। বাংলাদেশ জ্বালানি-উদ্বৃত্ত নয়। এটি সমাধানের অংশ হতে হবে ভারতকে। সেখানে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে অবকাঠামো উন্নয়নের বিশাল সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের অবকাঠামো পরিবেশ ভালোই সুবিধাজনক।

বিনিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বিনিয়োগকারীদের জন্য সবচেয়ে প্রতিবন্ধক শ্রেণিতে ধরা হতো, কিন্তু বর্তমান (ভারতীয়) সরকার (বাংলাদেশকে) সেই তালিকা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। বাংলাদেশে ভারতীয় ব্যবসা অবশ্যই আরও বেশি কিছু করতে পারে। সেক্ষেত্রে ‘গেম চেঞ্জার’ হতে পারে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল ও সিঙ্গেল উইন্ডো ক্লিয়ারেন্স।

সভার সভাপতি ও অনন্ত অ্যাস্পেন সেন্টারের চেয়ারম্যান নওশাব ফোর্বস বলেন, সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারতের জন্য খুবই মূল্যবান। তিনি বলেন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে গেছে। সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে তারা পাকিস্তান ও ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক শিল্প সেখানে। (বাংলাদেশের) ৩৬ শতাংশ কর্মী নারী এবং তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে।

ভারতীয় এ শিল্পপতির মতে, বাংলাদেশের সঙ্গে সক্রিয় বিনিয়োগ, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্কে ভারতের সামনে বড় সুযোগ রয়েছে।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১)