সোহেল সাশ্রু, কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে গভীররাতে সনাতন ধর্মাবলম্বী এক ঘুমন্ত গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মাসুদ মিয়া (৩৮) নামক এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের নাপিতেরচর গ্রামে।

এ ঘটনায় ১২ সেপ্টেম্বর রবিবার রাতে ধর্ষিতা গৃহবধূ বাদী হয়ে কুলিয়ারচর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করার পর ১৩ সেপ্টেম্বর সোমবার গভীর রাতে নিজ এলাকা থেকে অভিযুক্ত মাসুদ মিয়াকে গ্রেফতার করে কুলিয়ারচর থানা পুলিশ। অভিযুক্ত মাসুদ মিয়া উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের নাপিতেরচর গ্রামের মো. ফজলু মিয়ার ছেলে বলে জানা যায়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দিবাগত রাতে ওই গৃহবধূ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাতের খাবার খেয়ে তাদের বসতঘরে তার মেয়েকে নিয়ে একটি চৌকিতে ঘুমাচ্ছিলো। অপর দিকে তার স্বামী কাঠ মিস্ত্রি ঘরের অন্য আরেকটি চৌকিতে ছেলেকে নিয়ে ঘুমাচ্ছিলো। রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে পার্শ্ববর্তী বাড়ির মাসুদ মিয়া টিনের ঘরের বেড়া ফাঁক করে বাহির থেকে ঘরের দরজা খুলে শব্দ বিহীন ঘরের ভিতর প্রবেশ করে চুপিচুপি গৃহবধূর বিছানায় গিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। শারীরিক সম্পর্ক করার সময় ওই গৃহবধূ ঘুমের ঘোরে স্বামী মনে করে মাসুদ মিয়াকে কোনো রকম বাঁধা প্রদান করেননি।

শারীরিক সম্পর্ক শেষে মাসুদ মিয়া যখন ঘরের দরজার দিকে যেতে থাকে তখন ওই গৃহবধূ লাইট জ্বালিয়ে দেখতে পায় সে তার স্বামী নয় পার্শ্ববর্তী বাড়ির মাসুদ মিয়া। তখনই সে বুঝতে পারে ঘুমের ঘরে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এসময় গৃহবধূর ডাক চিৎকারে স্বামী সন্তানের ঘুম ভেঙে যায়। তখন তারা মাসুদ মিয়াকে আটকানোর চেষ্টা করলে ততক্ষণে মাসুদ মিয়া দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। এঘটনা জানা জানি হওয়ার পর থেকে এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়।

এ ব্যাপারে কুলিয়ারচর থানার ওসি (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ওই গৃহবধূর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ১২ সেপ্টেম্বর রোববার অভিযুক্ত মাসুদ মিয়ার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পরে ১৩ সেপ্টেম্বর সোমবার গভীর রাতে অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত মাসুদ মিয়াকে তার নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে সকালে কিশোরগঞ্জের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

(এস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১)