নওগাঁ প্রতিনিধি : দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ন্যায় নওগাঁর ধামইরহাটে উন্নয়ন অগ্রযাত্রাই অতীতের চেয়ে অনেক এগিয়ে। তবুও যেন নিন্দার শেষ নেই। আসলে ২/১ টি জায়গাতে নাকাল অবস্থাও দেখা গেছে। প্রকৃত পক্ষে এর জন্য দায়ী দায়িত্বশীল স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা, বিশেষ করে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা। রাস্তা না থাকায় রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা, ছেলে -মেয়েদের মানসম্মত লেখাপড়াতেও বিঘ্ন ঘটছে। এমন একটি নিদারুন কষ্টের ঘটনা উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নে।

জানা গেছে, উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডভুক্ত মাস্টারপাড়া ও মজিবর পাড়ায় বসবাস করে প্রায় ২ শতাধিক পরিবার। জমির আইল দিয়েই চলাচল করতো ওই এলাকার বাসিন্দারা। কালের বিবর্তনে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও অদ্যাবধি কোন রাস্তা পায়নি দুটি পাড়ার জনগণ। পেয়েছে শুধু মেম্বার-চেয়ারম্যানদের প্রতিশ্রুতি। বর্তমান বর্ষাকালে এক পশলা বৃষ্টি হলেই দেড় ফুটের সরু চিকন আইল দিয়ে হাঁটতে গিয়ে মাস্টারপাড়া ও মজিবর পাড়ার লোকজনের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে।

স্থানীয় ৮০ বছর বয়সী হুরমত আলী বলেন, ‘বাবারা একটা ভ্যান রিক্সা তো দুরের কথা হোন্ডা (মোটরসাইকেল)নিয়েও যাওয়া যায়না।’ দুটি গ্রামের লোকজনের বাহির হওয়ার মত কোন রাস্তা নেই। বর্ষাকালে এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হলে, গৃহবন্ধী থাকতে হয় পরিবারের সবাইকে। ফলে তারা খুবই কষ্টে জীবন যাপন করে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ওসমান আলী বলেন, ‘এই এলাকায় জমির মাালিক গোলজার, আকবর আলী, কুদ্দুস ও সামসুলসহ সবাইকে সাথে নিয়ে বৈঠক করেছি। আমি ৮০ হাজার টাকার মত জমিওয়ালাদের দিতেও চেয়েছি। কিন্তু তারা কেউ রাস্তা দিতে সম্মত হয়না জন্যই দীর্ঘদিনের পুরোনো দুটি পাড়ার মাঝখানে রাস্তাটি করা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে ধামইরহাট উপজেলা প্রকৌশলী মো. আলী হোসেন বলেন, প্রথমে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে দৃশ্যমান রাস্তার অবকাঠামো তৈরী হতে হবে। স্থানীয় ৪০ দিনের কর্মসূচি দিয়েও সেটা করা যেতে পারে। তার পর উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর সরেজমিন পরিদর্শণ করে একটি আইডির মাধ্যমে রাস্তার উন্নয়ন কাজ করে দেয়া সম্ভব, নচেত সম্ভব নয়।

(বিএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১)