আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : নিবন্ধন প্রথা চালুর দীর্ঘদিন পার করেও আশাপ্রদ অগ্রগতি না হওয়ায় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের বাধ্যবাধকতার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিতে রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে  জেলার গৌরনদী উপজেলা পরিষদের হলরুমে অপরাজিতা নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিয়ে নারী নেটওয়ার্কের নেতৃবৃন্দদের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা, আরপিও’র শতভাগ অর্জনের জন্য নতুন করে সময় নির্ধারন করে তা বাস্তবায়নের দাবি করেন।

বক্তারা আরও বলেন, ২০০৮ সালে নিবন্ধন পদ্ধতি চালুর পর ২০২০ সালের মধ্যে ৩৩শতাংশ নারী নেতৃত্ব পূরণের প্রতিশ্রুতি ইসিকে দিয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলো। প্রতিশ্রুতি সত্বে এখনও নারী সদস্য পূরণ করতে পারেনি দলগুলো। কেন্দ্রীয় পর্যায়ে দলগুলোর কিছু নারী নেতৃত্ব থাকলেও তৃণমূলে এ দৃশ্য খুবই হতাশাজনক। তাই নতুন করে সময় নির্ধারন করে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে দলগুলোর খুব শীঘ্রই শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করবেন বলেও বক্তারা আশা করেন। বিশেষ করে দেশের মধ্যে সর্বপ্রথম গৌরনদীতে শতভাগ কোঠা পূরণ করা হবে বলেও নারী নেতৃবৃন্দরা সকল দলের নেতৃবৃন্দ কাছে জোর দাবি করেন।

বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রূপান্তরসহ কয়েকটি সংস্থার আয়োজনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, গৌরনদী উপজেলা চেয়ারম্যান ও অপরাজিতা নারী নেটওয়ার্কের উপজেলা সভাপতি সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জাহানারা পারভীন, গৌরনদী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি খোকন আহম্মেদ হীরা, সাবেক সভাপতি মো. গিয়াস উদ্দিন মিয়া, নারী নেত্রী নাজমা বেগম, শিপ্রা রানী, রূপান্তরের জেন্ডার প্রশিক্ষণ অফিসার মো. খলিলুর রহমান, উপজেলা কো-অডিনেটর সঞ্জীব কুমার পাল প্রমুখ। সভায় বিভিন্ন পর্যায়ের অপরাজিতা নারী নেটওয়ার্ক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা অংশগ্রহন করেন।

(টিবি/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১)