স্পোর্টস ডেস্ক : ভারতীয় ক্রিকেটে বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার মধ্যকার ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের গুঞ্জন বেশ পুরোনো। ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে সাবেক ক্রিকেটারদেরও দেখা গেছে কোহলি-রোহিতের মধ্যকার অমিল নিয়ে কথা বলতে। এবার সেই গুঞ্জন মেললো নতুন ডানা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে নতুন তথ্য।

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এই ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কোহলি। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতি দিয়েছেন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে জানা যাচ্ছে, নিজে অধিনায়কত্ব ছাড়ার পাশাপাশি রোহিতকে সহ-অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার পরামর্শও দিয়েছেন কোহলি।

ক্রিকেট এডিক্টরের বরাত দিয়ে ক্রিকট্র্যাকারে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, ওয়ানডে ক্রিকেটে রোহিতের জায়গায় সহ-অধিনায়ক হিসেবে লোকেশ রাহুল এবং টি-টোয়েন্টিতে রিশাভ পান্তের নাম সুপারিশ করেছেন কোহলি। এর পেছনে অবশ্য ব্যক্তিগত কোনো দ্বন্দ্বের কারণ নয়। মূলত রোহিতের বয়স ৩৪ হয়ে যাওয়ায় এখন তুলনামূলক তরুণ কাউকেই দেখতে চাইছেন কোহলি।

টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছাড়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে হেড কোচ রবি শাস্ত্রী ও বর্তমান সহ-অধিনায়ক রোহিত শর্মার সঙ্গে কথা বলে নিয়েছেন কোহলি। পাশাপাশি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান সৌরভ গাঙ্গুলি এবং সেক্রেটার জয় শাহ এবং দলের নির্বাচকদেরও জানিয়েছেন নিজের পরিকল্পনার কথা।

তবে বোর্ডের অভ্যন্তরীণ এক সূত্র ক্রিকেট এডিক্টরকে জানিয়েছে, মূলত কোহলি নিজেই টের পেয়েছিলেন তাকে সাদা বলে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হবে। এ কারণে তিনি নিজ থেকেই টি-টোয়েন্টি অধিনায়কও ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

সেই সূত্রের ভাষ্য, ‘কোহলি জানতেন, তাকে সাদা বলের অধিনায়কত্ব থেকে সরানো হবে। দল যদি বিশ্বকাপে ভালো করতে না পারে, তাহলে ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব থেকে স্থায়ীভাবেই সরিয়ে দেয়া হবে তাকে। এ কারণে নিজ থেকেই কিছু চাপ কমিয়ে নিলেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে খারাপ করলেও হয়তো ৫০ ওভারে এর প্রভাব পড়বে না।’

তিনি আরও জানিয়েছেন, আগের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো তত প্রাণখোলা নন কোহলি। যখন-তখন চাইলেই ধোনির কাছে যেতে পারতো দলের খেলোয়াড়রা। কিন্তু কোহলির ক্ষেত্রে সেটি হয় না। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা বেশ কঠিন বলেই অভিযোগ সেই সূত্রের। তবে রোহিতের মধ্যে ধোনির মতো গুণাবলী রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১)