রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের ধরলা নদীর তীরে চর নামাজয়কুমার ও সারডোবের দুই হাজার মানুষের ভোগান্তি দূর করতে প্রবাসীদের আর্থিক সহায়তায় বাঁশ ও শ্রম দিয়ে নামাজয়কুমর গ্রামের খালের উপর  ড্রাম ও বাঁশ দিয়ে ৫দিনেই ৫০ ফুট দীর্ঘ সাঁকোটি তৈরী করে এলাকাবাসী। দীর্ঘদিন পর খালের উপর এ রকম একটি সাঁকো হওয়ায় এলাকার মানুষের দুঃখ লাঘব হয়েছে।

এ সাঁকোটিরোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে উদ্বোধন করেন কুড়িগ্রামের বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক আব্দুল খালেক ফারুক।

এলাকাবাসীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ধরলা নদী তীরবর্তী নামাজয়কুমার ও সারডোব গ্রামের ৪ শতাধিক পরিবার একটি সেতুর অভাবে যাতায়াতের ভোগান্তিতে পড়েন। বছরের প্রায় ৬ মাসই এ দূর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের। চর থেকে একতা বাজার হয়ে আসতে একটি খাল পার হতে হয়। মে মাসে যখন বৃষ্টি হয় তখন খালে পানি ওঠে। আস্তে আস্তে নদীর পানি বাড়লে এই খাল দিয়ে প্রবাহিত হয় বন্যার পানি। অক্টোবর পর্যন্ত পানি থাকে খালে। ফলে খালের উপর চলাচলকারী জনগন পড়েন ভোগান্তিতে।

ছোট খাল বলে এখানে নৌকা ব্যবস্থাও নেই। তাই গ্রামবাসীরা কয়েকটি বাঁশ সংগ্রহ করে বাঁশেরটার (সাঁকো) তৈরী করে কোন রকমে পারাপার করছিলেন। কিন্তু এই টার দিয়ে নারী-শিশু ও বৃদ্ধরা পারাপার হতে গিয়ে প্রায়ই দূর্ঘটনার শিকার হয়। জরুরি রোগী পরিবহন ও পণ্য পারাপারে সম্ভব হয় না। এই অবস্থা নিরসনে নামাজয়কুমার গ্রামের মানুষ অনেক দিন ধরে একটি কংক্রিট বা কাঠের ব্রীজের দাবী জানালেও কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসেনি।

বন্যার পর বিশিষ্ট সাংবাদিক আব্দুল খালেক ফারুক ওই এলাকায় সরেজমিন গিয়ে গ্রামবাসীদের দুঃখ-দুর্দশা দেখে কয়েকজন প্রবাসী বন্ধুদের সাথে কথা বললে তাদের আর্থিক সহায়তায় ড্রাম, বাঁশ সংগ্রহ করে ভাসমান সাঁকো তৈরি করেন। সাঁকোর উপর দিয়ে সহজেই পারাপার হওয়ার পর গ্রামবাসীদের মনে স্বস্তি আসে।

নামাজয়কুমর গ্রামের বাসিন্দা ইনসাফুল মিয়া জানান, লোকজন পারাপার ছাড়াও চরে উৎপাদিত ধান, ভুট্টা, পাট, আলুসহ ফসল ও অন্যান্য পণ্য পার করতে এখন আর কোন সমস্যা হবে না।

(পিএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১)