স্টাফ রিপোর্টার : অটিজমের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে যৌথ লড়াই শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কন্যা ও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থ্যার মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ প্যানেলের উপদেষ্টা সায়মা হোসেন পুতুল।

রাজধানীর প্যানপাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের ৩২তম সভা এবং এর আঞ্চলিক কমিটির ৬৭তম বার্ষিক সম্মেলনের অংশ হিসেবে এক গোলটেবিল বৈঠক থেকে এ উদ্যোগ শুরু করা হয়।

বৈঠক শেষে সায়মা হোসেন পুতুল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।

‘অটিজমের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব ও বহুমাত্রিক কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি ও অটিজম বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।

অটিজমের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বৈশ্বিক লড়াই শুরু করার উদ্যোগের প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ।

গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা বৈশ্বিক এ উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে সায়মা হোসেন বলেন, এটা খুব অল্প সময়ে হয়েছে। তারা খুব ডেডিকেটেড (উৎসর্গীকৃত)। আমাদের এ উদ্যোগে তারা সমর্থন দিয়েছেন। এটা সবে শুরু, ভবিষ্যতে এটি অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, অটিজম বিষয়ে অনেক কাজ হচ্ছে। তবে কো-অর্ডিনেশন নেই। আমরা পার্টনারশিপের মাধ্যমে অটিজমের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কাজ করতে উদ্যোগ নিয়েছি। পার্টনারশিপটা হবে গোব্লাল পার্টনারশিপ (বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব)।

অটিজমের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা আমরা একা পারবো না। এজন্য আমাদের সার্পোট (সহায়তা) লাগবে মন্তব্য করেন পুতুল।

সরকারি, বেসরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে একটি ‘কার্যকর আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক’ গড়ে তোলার জোর দেন সায়মা হোসেন।

অধিকাংশ দেশেই অটিজম বিষয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য, গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা বা সেবা প্রদানের উপযুক্ত অবকাঠামো নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর কন্যা বলেন, এখনই সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। প্রত্যেকেটি দেশে অটিস্টিকদের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, সামাজিক ও উন্নয়নমূলক প্রকল্প নিতে হবে।

বাংলাদেশে অটিজম নিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে এ অটিজম বিশেষজ্ঞ বলেন, মানুষ সচেতন হচ্ছে। এখন ‘অটিজম’ শব্দটা সবাই জানেন। কিন্তু, আমাদের আরো অনেক কিছু করতে হবে। তাদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অধিকার নিয়ে কাজ করতে হবে।

সায়মা হোসেন পুতুল বলেন, অটিজম ব্যবস্থাপনায় আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। অটিস্টিক শিশুদের পরিবারগুলোকে সার্পোট দিতে হবে।

অটিজম নিয়ে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে চলতি বছর বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ‘এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন সায়মা হোসেন পুতুল।

এ পুরস্কার অটিস্টিক শিশু, তাদের পরিবার ও যারা অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে কাজ করেন, তাদের উৎসর্গ করে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, পুরস্কার পাওয়ায় দায়িত্ব আরো বেড়ে গেল। অটিজম নিয়ে কাজের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সব সময়ই নেতৃত্বের ভূমিকায় ছিল। এই ভূমিকা আমরা অব্যাহত রাখতে চাই।

(ওএস/এএস/সেপ্টেস্বর ১১, ২০১৪)