এমডি অভি, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের বন্দরে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে বিআইডব্লিউটিএ'র সীমানা খুঁটি অদৃশ্য হয়ে গেছে। মঙ্গলবার ২১ সেপ্টেম্বর সকালে নবীগঞ্জ ঘাটে গিয়ে এমন চিত্র দেখা মিলছে। তবে অভিযোগ উঠেছে বিআইডিব্লিউটিএ'র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক মাসুদ কামালের সাথে সখ্যতা রেখে এ পিলার ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে বলে জানা গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, দখলদারিত্বের সাথে বিআইডব্লিউটিএ’র কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা জড়িত।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বন্দরের নবীগঞ্জ ঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীর ঘেঁষেই বিআইডব্লিউটিএ'র সীমানা পিলার রয়েছে। অথচ পিলারের জায়গায় পিলার থাকলেও গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। এর মধ্যে রয়েছে প্রায় ২৫/৩০টি অবৈধ স্থাপনা। এছাড়াও ১ তলা থেকে ৫তলা বিশিষ্ট ভবন সহ সেমিপাকা ভবন। তবে নবীগঞ্জ ঘাট সংলগ্ন সুমনের ১তলা বিশিষ্ট ভবনের দু'পাশে বিআইডব্লিউটিএ'র সীমানা পিলার রয়েছিল কিন্তু আরেক পাশের পিলার উধাও হয়ে গেছে।

জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের বন্দরের শীতলক্ষ্যা নদীর দুই তীরে উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রেখেছে বিআইডব্লিউটিএ। কিন্তু বন্দর খেয়াঘাট ও সোনারগাঁয়ের কাচঁপুরে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে। এর মধ্যে বন্দর ঘাটের নদীর পার বিআইডব্লিউটি’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক মাসুদ কামালের নির্দেশে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নারায়ণগঞ্জ -৪ ও ৫ আসনের সাংসদের সম্বিলিত একটি ফেষ্টুন। যেখানে উচ্ছেদ অভিযানে জাতির জনক ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভেঙ্গে ফেলা হয় সেখানে এখনও রক্ষিত অবস্থায় রয়েছে নবীগঞ্জ ঘাট এলাকায় অবৈধ স্থাপনা।

এদিকে, বন্দর ঘাটে প্রতিনিয়ত উচ্ছেদ অভিযান করলেও নবীগঞ্জ ঘাট সংলগ্ন এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে সীমানা পিলারের ভিতরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনার উচ্ছেদ অভিযান না হওয়ায় এনিয়ে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সর্বত্র।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল বলেন, আমরা দ্রুত সাইটে লোক পাঠিয়ে পিলার ভেঙ্গে ফেলার বিষয়টি দেখে দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো, এবং আগামী-পরশু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।

(এমও/এসপি/সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১)