স্টাফ রিপোর্টার : বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে উল্লেখ করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, যাকে তাকে ক্ষমতায় না এনে একটি পরিচ্ছন্ন সুশীল সরকারকে ক্ষমতায় আনতে হবে।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তিনি এ কথা বলেন।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বর্তমানে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় একজন মানুষ খালেদা জিয়া। তার পক্ষে গণজোয়ারই পারে ভোট ডাকাতদের ক্ষমতা থেকে নামাতে। অথচ খালেদা জিয়া জেল থেকে বের হওয়ার পর উচিত ছিল তাকে হুইল চেয়ারে করে জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করতে নিয়ে যাওয়া। সেটাই তো পারা সম্ভব হয়নি।

এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান জেনারেল (অব.) ইবরাহিম ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।

মাহমুদুর রহমান মান্নাহ বলেন, মানুষ খেতে পায় না। সব জিনিসের দাম বেশি। এর চাইতে দুখী দেশ আমরা কখনও দেখিনি। দেশের এই মুহূর্তেও প্রধানমন্ত্রী কোটি কোটি টাকা খরচ করে চার্টার্ড বিমান নিয়ে বিদেশে যাচ্ছেন। যারা ক্ষমতায় আসেন তাদের মধ্যে নূন্যতম মানবিকতা নেই। আমরা সমস্ত রাজনৈতিক দল একই মঞ্চে আসব এটা আমি মনে করি না। একই মঞ্চে আসতে হবে এমনটির দরকারও নেই। সব জায়গা থেকে শুধুমাত্র এখন একই কথা উচ্চারণ করতে হবে। এই সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন নয়। একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। এই দাবিতে সবাইকে এক হতে হবে। আমি তো বিএনপি করি না। কিন্তু ‘এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়’ বিএনপির এই ঘোষণার সঙ্গে একমত হয়েছি।

জেনারেল (অব.) ইবরাহিম বলেন, অপরিকল্পিতভাবে লড়াই হলে আবারও জেলে বন্দি হতে হবে। সেই ১৫ সালের মামলা এখন অনেকের ঝুলছে। এখন যেন সরকারের সমালোচনা করতে সরকারের কাছেই দরখাস্ত লিখতে হয়। এদেশের মানুষ বিদেশের মাটিতে ঘরবাড়ি করতে চায় না। এদেশের মানুষ চায় একটু কথা বলার স্বাধীনতা, ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা। নির্বাচনের আগে বলেছিলেন সংসদ সদস্যেরা জনসম্মুখে নিজেদের সম্পদের হিসাব দেবেন। অথচ তার কোনো খবর নেই। এসব বাদ দিয়ে এখন সাংবাদিকদের ব্যাংক হিসাব চাওয়া হচ্ছে। কারণ, এখন কেউ কথা বলতে না পারলেও সাংবাদিকরা কিছু সত্য তুলে ধরছেন। আর এটা বন্ধ করার জন্যই ব্যাংক হিসাব চাওয়া।

ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, দেশের মানুষ গণতন্ত্র প্রিয়? মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য। বঙ্গবন্ধু মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করেছেন। আজকে এতো বছর পর আমি ডাকসুর নির্বাচন করেছি অথচ ভোট দিতে পারছি না। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নাজেহাল। স্কুল খোলা হয়েছে কিন্তু খোলা হচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয়। কারণ সরকারের ভয়, যদি কোটা সংস্কার আন্দোলনের মতো ছাত্ররা ভিন্ন বিষয় নিয়ে আবারও আন্দোলনে নামে।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১)