শিমুল সাহা, লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি একটি কাঙ্ক্ষিত বিষয়, যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার এদেশে যে কোন মূল্যে বজায় রাখতে বদ্ধ পরিকর। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্ম নিরপেক্ষতার মূলনীতি যুক্ত করে মূলত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর করে গেছেন।

বুধবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাস্তবায়নাধীন ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ শীর্ষক প্রকল্প আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

এমপি নয়ন আরও বলেন, প্রতিটি ধর্মই মানুষের কল্যাণের কথা বলে, শান্তির বার্তা শোনায়। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিষয়টি কোন ধর্মই সমর্থন করেনা। এটি মানবতা বিরোধী অপরাধ। প্রত্যেক ধর্মের অনুসারীর নিকট তাঁর ধর্ম শ্রেষ্ঠ, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও পবিত্র বিষয়। এছাড়া প্রতিটি ধর্মের মূল বিষয়গুলোতে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। সে সাদৃশ্যসমূহকে অবলম্বন করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বৃদ্ধি করতে হবে।

প্রতিটি ধর্মই মানুষের কল্যাণের কথা বলে, শান্তির বার্তা শোনায়। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিষয়টি কোনও ধর্মই সমর্থন করে না। এটি মানবতাবিরোধী অপরাধ। প্রত্যেক ধর্মের অনুসারির কাছে তার ধর্ম শ্রেষ্ঠ, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও পবিত্র বিষয়। এছাড়া প্রতিটি ধর্মের মূল বিষয়গুলোতে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। সে সাদৃশ্যগুলোকে অবলম্বন করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বৃদ্ধি করতে হবে।

এদেশের উন্নয়ন যেমন আজকের বিশ্বের বিস্ময়, রোল মডেল, ঠিক তেমনি এদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিও বিশ্বের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। ঐক্যবদ্ধভাবে ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষা করে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে।

বিভিন্ন সময় স্বার্থান্বেষী মহল বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুন্দর পরিবেশকে নস্যাৎ করতে চায়। আমাদের সকলকে এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।

তিনি বলেন, সরকার ধর্মীয় মূল্যবোধ সম্পন্ন অসাম্প্রদায়িক সমাজ” বিনির্মাণের মহান লক্ষ্যে সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের কল্যাণে পর্যাপ্ত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। যার সুফল সকল সম্প্রদায়ের জনগণ ভোগ করছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নূর-এ-আলম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প পরিচালক আব্দুল্যাহ আল শাহিন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর উপ-পরিচালক আশিকুর রহমান।

কর্মশালায় বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিগণ, সাংবাদিক, সামাজিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।

(এস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১)