রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরায় সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে ভাট গ্রহণে দূর্নীতি, ইভিএম ত্র“টি, সন্ত্রাসী কায়দায় ভোট গ্রহণসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানিয়েছেন কলারোয়া উপজেলার ৯নং হেলাতলা ইউনিয়নের আ’লীগ এবং স্বতন্ত্র সহ দুই চেয়ারম্যান ও ১১ মেম্বর প্রার্থী। 

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে কলারোয়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীরা এই দাবি জানান।

লিখিত বক্তব্যে নৌকার প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সরদার আনসার আলী বলেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর ৯নং হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলাকালে ৯টি কেন্দ্রে সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার, এভিএম অপারেটর এবং আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় অধিকাংশ বয়ঃবৃদ্ধ পুরুষ-মহিলা ভোটারদের জোর পূর্বক আঙ্গুল চেপে ধরে ভোট গ্রহণ করায় তারা তাদরে আকাংখিত প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেনি।

এছাড়া ইভিএম মেশিন বারবার ত্র“টি দেখা দেয়ায় ভোটারগণ সুষ্ঠভাবে ভোট দিতে পারেনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন তার সন্ত্রাসী কর্মীদের নিয়ে প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং এজেন্ট, ইভিএম অপারেটর ও শান্তি শৃংখলা বাহিনীর সহযোগিতায় তাদের ইচ্ছেমত ভোট গ্রহণ ও বাধা সৃষ্টি করেছে। এছাড়া ভোট গণনার সময় তার কোন পোলিং এজেন্টদেরকে কক্ষের মধ্যে ঢুকতে দেয়া হয়নি। যা অনিয়মের মধ্যে ভোটের ফলাফল ঘোষনা করা হয়।

স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মাজেদ বিশ্বাস বলেন, রাত আনুমানিক ৯টা ৪০মিনিটে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় কতগুলো ভোট কাস্ট হলো এবং আমি কয়টি ভোট পেলাম তার রেজাল্টসিট আমাকে দেয়া হয়নি।

এছাড়া একই অভিযোগ করেন হেলাতলা ইউনিয়নে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারি ১১জন ইউপি সদস্য প্রার্থী। এরা হলেন, ১নং ওয়ার্ডের খন্দকার নুর হোসেন (সাহেব আলী) ও আব্দুস ছাত্তার, ৩নং ওয়ার্ডের শরিফুল ইসলাম ও সোহরাব হোসেন, ৪নং ওয়ার্ডে সজল হোসেন, ৫নং ওয়ার্ডের মিজানুর রহমান, ৬নং ওয়ার্ডের মোস্তাফিজুর রহমান ও আমিরুল ইসলাম, ৭নং ওয়ার্ডের শেখ আসলাম আলী দুলাল, ৯নং ওয়ার্ডের মোনায়েম ও আব্দুল মাজেদ। তারা এই অনিয়মের প্রতিবাদ জানিয়ে সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এদিকে ৯নং হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের নৌকা প্রাতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সরদার আনসার আলী ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মাজেদ বিশ্বাস এবং ৯টি ওয়ার্ডের ১১ মেম্বর প্রার্থী ফলাফল স্থগিত করে পুনরায় ভোট গণনা করার আবেদন জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রিটার্র্নিং অফিসার বরাবরে গণদরখাস্ত করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে তারা ভোট গ্রহণে অনিয়মের এসব অভিযোগ সুষ্ঠু তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ ফলাফল স্থগিত কিংবা পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানান।

(আরকে/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১)