আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারনার মাধ্যমে যুবকদের কাছ থেকে অর্থকড়ি হাতিয়ে নেওয়াই ছিলো বিউটিশিয়ান লাইজুন নাহার পপির নেশা। এনিয়ে তার পাঁচটি বিয়েও হয়েছে। সর্বশেষ স্বামীর দায়ের করা প্রতারনা ও হত্যা চেষ্ঠার মামলায় অবশেষে গ্রেফতার হয়েছেন প্রতারক পপি।

মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার খানপুরা গ্রামের সুলতান হাওলাদারের কন্যা প্রতারক পপিকে গ্রেফতার করেছেন। শনিবার সকালে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে থানার ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার জানান, নগরীর কাশিপুর বাধিয়া এলাকার একটি বাসা থেকে পপিকে গ্রেফতারের পর শুক্রবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

সূত্রমতে, পপি খানপুরা এলাকার পোল্টি ফিড ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম সোহানের দায়ের করা প্রতারনা ও হত্যা চেষ্টা মামলায় আদালতের গ্রেফতারী পরোয়ানার আসামী। অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে দায়ের করা মামলায় পপিকে পুলিশ গ্রেফতার করার পর একই মামলার আসামি পপির বাবা সুলতান হাওলাদার ও মা মরিয়ম বেগম আত্মগোপন করেছেন। তবে তাদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে ওসি উল্লেখ করেন।

পপির পঞ্চম স্বামী ও মামলার বাদি সাইফুল ইসলাম সোহান জানান, খানপুরায় তার পোল্টি ফিডের দোকানের পাশে লাইজুন নাহার পপির বিউটিপার্লারের দোকান ছিলো। সে সুবাধে পপির সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তারা বিয়ে করে নগরীর একটি ভাড়া বাসায় অবস্থান করেন। বিয়ের কিছুদিন পর তিনি (সোহান) জানতে পারেন পপির আগে আরও চারটি বিয়ে ছিলো। এছাড়াও সে প্রতারনা মাধ্যমে বিভিন্ন যুবকদের কাছ থেকে অর্থকড়ি হাতিয়ে নিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, এ নিয়ে গত ১৮ আগস্ট ভাড়া বাসায় বসে দু’জনের মধ্যে তুমুল বাগ্বিতন্ডা হয়। ওই সময় পপি ধারালো চাক্কু নিয়ে তাকে (সোহান) হত্যার চেষ্ঠা করে। একপর্যায়ে সে জরুরী সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করে পুলিশের সহায়তায় প্রাণরক্ষা করেন। পরে তার ভাড়া বাসায় থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্রসহ প্রায় তিন লাখ টাকার মালামাল পপি কৌশলে নিয়ে যায়।

(টিবি/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১)