আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজায় ইসরায়েলের ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর চারমাস পর আগামী অক্টোবরে প্রথম পর্বের পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে। স্থানীয় আবাসন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় গাজা পুনর্গঠনের জন্য কাতারের কমিটি এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক দল এই পরিকল্পনা নির্ধারণ করতে যাচ্ছে। শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গাজার আবাসন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব নাজি সারহান জানিয়েছেন, কয়েকটি দেশ গাজা পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং অক্টোবরে তারা কাজ শুরু করতে রাজি হয়েছে।

তিনি জানান, সম্প্রতি ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ধ্বংস হওয়া আবাসিক এলাকাগুলো পুনর্নিমাণ করতে কাতার ৫০ কোটি মার্কিন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মিশর এবং কুয়েতও অবকাঠামো নির্মাণে অংশগ্রহণ করবে।

১১ দিনের ওই হামলায় ফিলিস্তানের ৬৬ শিশুসহ ২৫৬ জন নিহত হয়। সাধারণ নাগরিকদের বাড়ি-ঘর এবং অবকাঠামো লক্ষ্য করে অধিকাংশ হামলা পরিচালিত হয়েছিল। এতে দুই হাজার বাড়ি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস ও ২২ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নাগরিক গৃহহীন হয়ে পড়ে।

তিন ধাপে এই পুনর্গঠনের কাজ শেষ হবে। এ বিষয়ে একটি চুক্তি হয়েছে। প্রথম ধাপে কাতারি কমিটি আবাসিক বাড়ি-ঘর নির্মাণে কাজ করবে। এর আওতায় ধ্বংসপ্রাপ্ত এক হাজার বাড়ি পুনর্নির্মাণ করা হবে।

আগামী কয়েকদিনের মধ্যে মিশরও তাদের প্রথম ধাপের কাজ শুরু করবে। রাফা সীমান্ত দিয়ে গাজা উপত্যকায় নির্মাণ সরঞ্জাম প্রবেশের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যেসব টাওয়ারে বোমা হামলা চালানো হয়েছে এর আগে কুয়েত সেগুলো নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো চুক্তি হয়নি।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১)