মোঃ সিরাজ আল মাসুদ, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলে করোনা মহামারীর দেড় বছরে ২০২টি কিন্ডারগার্টেন স্থায়ীভাবে বন্ধ ও বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে ১২৪২ জন শিক্ষার্থী। কিন্ডারগার্টেনে সাড়ে চার হাজার শিক্ষক বেকার হয়েছেন।

এছাড়াও পড়ালেখা ছেড়ে পরিবারের হাল ধরেছে অনেক শিক্ষার্থী । তবে শহরের চেয়ে গ্রাম ও চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের ঝরে পরার হার বেশি।

অপরদিকে জেলার ৮১৯ টি কিন্ডারগার্টেনের মধ্যে ২০২ টি শিক্ষার্থী সংকটে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন বেতন বন্ধ থাকায় পেশা বদলেছেন শিক্ষকরাও। জেলায় কিন্ডারগার্টেনের ১১ হাজার ৪৩৬ জন শিক্ষকের মধ্যে ৪ হাজার ৫৮৬ জন বেকার হয়ে পরেছেন।

জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ৮৮ জন, সখিপুর উপজেলায় ১৪৩ জন, ঘাটাইল উপজেলায় ৪৯ জন, গোপালপুর উপজেলায় ৫৬ জন, ভূঞাপুর উপজেলায় ১৪ জন, কালিহাতী উপজেলায় ২২৯ জন, দেলদুয়ার উপজেলায় ২২৮ জন, বাসাইল উপজেলায় ৪৪ জন, নাগরপুর উপজেলায় ১১৪ জন, মির্জাপুর উপজেলায় ছয়জন, মধুপুর উপজেলায় ১১৮ জন ও ধনবাড়ী উপজেলায় ১৫৩ জন। মোট ১২৪২ জন।

জেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক নাসির আহমেদ জানান, করোনাকালে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কিন্ডারগার্টেন গুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করি।

এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার লায়লা খানম বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাকালীন সময়ে অভিভাবকরা গোপনে বাল্যবিয়ে দিয়ে তাদের সন্তানদেরকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দের নিয়ে জরুরি মিটিং কল করেছে যেভাবেই হোক শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে আনতে হবে।

(এসএম/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১)