মায়ের ডাক
বিশ্বজিৎ বসু
ভগবতী দেবীর খোকা
থাকেন কলিকাতায়
বাংলা ভাষায় গদ্য লিখেন
বইয়ের পাতায় পাতায়।
প্রথম ভাগ, দ্বিতীয় ভাগ,
লিখেন বোধোদয়
একে একে চারিদিকে
করছে খোকা জয়।
ওদিকে ওই গ্রামের বাড়ী
শূন্য মায়ের বুক
খোকা কখন আসবে বাড়ী
বইবে তখন সুখ।
একদিন এক দুপুর বেলা
ডাক পিয়নের হাক
চিঠি আছে চিঠি আছে
তোমার মায়ের ডাক।
মায়ের ডাকে খোকা
তখন চলল ছুটে বাড়ী
কে জানতে সামনে যে তার
রইছে বিপদ ভারি।
মুসলধারে বৃষ্টি নামে
সংগে ভীষণ ঝড়
গুড়ুম গুড়ুম বজ্রপাত
আর উড়ছে বাড়ী ঘর।
ঝড়ের রাতে আঁধার পথে
চলল খোকা বাড়ী
সামনে ভয়াল দামোদরকে
দিতেই হবে পাড়ি।
দামোদরের মাঝে তখন
বিশাল বিশাল ঢেউ
কেমনে দেবে নদী পাড়ি
নেইকো ঘাটে কেউ।
খোকা তখন ঢেউয়ের সাথে
ধরল ভীষণ আড়ি
মায়ের নামে দামোদরকে
সাঁতরে দেব পাড়ি।
সাঁতরে নদী পাড়ি দিয়ে
ঘরের দোড়ে টোকা
কে এসেছে কে এসেছে
আমার প্রাণের খোকা?
এ খোকাটি জন্মেছিল
বীর সিংহ গ্রামে
আমরা সবাই চিনি তাঁকে
বিদ্যাসাগর নামে।।