আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : তীব্র তাপদাহে পুড়ছে বরিশালের গৌরনদী, আগৈলঝাড়া ও উজিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকা। সকাল হতে না হতেই সূর্যের তাপমাত্রা সহ্যসীমা ছাড়িয়ে যেতে শুরু করে। আর সময় গড়িয়ে দুপুর আসতে না আসতেই সেই তাপদাহ রীতিমতো অসহনীয় হয়ে উঠেছে। তীব্র তাপদাহে পথচারী থেকে শ্রমজীবী সকল মানুষের নাভিশ্বাস ওঠার মাঝেও একইসাথে গত চারদিনের অব্যাহত বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জনজীবন আরো অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সহকারী মো. নজরুল ইসলাম জানান, বুধবার দুপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছে ৩৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা চলতি গ্রীস্ম মৌসুমের রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। তিনি আরো জানান, আকাশে মেঘের কোন আনাগোনা না থাকায় বৃষ্টিপাত হওয়ার কোন সম্ভবনা দেখা যাচ্ছেনা। আর বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত গরম থাকবে। আগামী ২/১ দিনের মধ্যে তাপমাত্রা বেড়ে ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস হতে পারে বলেও তারা ধারণা করছেন। এদিকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে প্রচন্ত গরমে বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের জনসাধারনের মাঝে এক অস্বস্তিকর অবস্থা বিরাজ করছে। দিনের প্রচন্ড তাপদাহে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। এরমধ্যে শ্রমজীবীদের অবস্থা একেবারেই নাজুক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অপরদিকে প্রচণ্ড তাপদাহের সাথে পাল্লা দিয়ে গত চার দিন থেকে এ তিন উপজেলায় অস্বাভাবিক হারে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে জনজীবন আরো অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। আর এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন এইচএসসি, আলীম ও ডিগ্রি পরীক্ষার্থীরা। ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে তাদের পড়াশোনায় চরমভাবে বিঘ্ন ঘটছে। জানা গেছে, বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতাধীন গৌরনদী জোনাল অফিস থেকে সরবরাহকৃত গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, বাবুগঞ্জ, মুলাদী ও উজিরপুর উপজেলায় গত চারদিন থেকে দিনে ও রাতে বিনা নোটিশে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে জনজীবনে আরো বিপর্যয় নেমে এসেছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিদ্যুৎ নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অবস্থা আরো করুন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
(টিবি/এএস/এপ্রিল ২৩, ২০১৪)