অরিত্র কুণ্ডু, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের শৈলকূপায় বিষধর সাপের উৎপাত কমছে না। বর্ষা মৌসুম আসলে সাপের কামড়ে প্রায় প্রতি মাসেই মানুষ মারা যায়। এ বছর শিশুসহ প্রায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে সাপের কামড়ে। রবিবার রাতেও নারীসহ দুই জনের মৃত্যু হয়েছে সর্পদংশনে। হাসপাতালে এন্টিভেনাম থাকলেও ওঝা কবিরাজ ও সময়ক্ষেপনের কারণে অহরহ রোগী মারা যাচ্ছে। 

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, রবিবার রাতে শৈলকুপা উপজেলার রঘুনন্দনপুর গ্রামে আবুল হোসেন জোয়ার্দ্দারের ছেলে মোকাদ্দেস হোসেন (৬৫) ও দক্ষিণ মনোহরপুর গ্রামের আজগার আলির স্ত্রী রোক্সনা বেগম (৪৫) সাপে কেটে মারা যান।

মৃত মোকাদ্দেস হোসেনের ছোট ভাই হাবিবুর রহমান জানান, ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে তার ভাই প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে টয়লেটে যায়। সেখানে গোখড়া সাপ তাকে দংশন করে। প্রথমে তাকে স্থানীয় ওঝাঁর কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। ওঁঝা ঝাঁড়ফুক করার পর তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাকে শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সকাল ৮ টার দিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শৈলকূপা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা: কনক জানান, তার পায়ে দুটি দংশনের চিহ্ন রয়েছে। স্থানীয় কবিরাজ দেখিয়ে রোগীকে অনেক দেরিতে হাসপাতালে আনা হয়েছে। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

অপরদিকে নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য বলাই কুমার বিশ্বাস জানান, দক্ষিণ মনোহরপুর গ্রামের গৃহবধু রোক্সনা বেগম ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। গভীর রাতে তাকে সাপে কামড় দেয়। যন্ত্রণা শুরু হলে স্বজনরা তাকেও প্রথমে গ্রাম্য ওঝাঁর কাছে নিয়ে যায়। পরে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে পথেই তার মৃত্যু হয়।

(একে/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১)