লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : লোহাগড়ার লাহুড়িয়া সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রিফাত (১৫) কে তার আপন চাচাতো ভাই শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মধুমতি নদীতে লাশ ফেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ সেপ্টেম্বর সকালে উপজেলার লাহুড়িয়া ইউপির সৈয়দপাড়ার সাঈদ হোসেনের ছেলে ও লাহুড়িয়া সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রিফাত হোসেন একই মাদ্রাসার স্মাতক শ্রেণির শিক্ষার্থী ও তার আপন চাচাতো ভাই ভিকুর হোসেনের ছেলে সোহাগের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন কেনে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বচসা হয়। বচসার একপর্যায়ে ওইদিন দুপুরে সোহাগ এই মর্মে প্রচার করে যে, রিফাত তার মোবাইল ফোন চুরি করেছে।


এ ঘটনার জের ধরে ওইদিন সন্ধ্যায় সোহাগের নেতৃত্বে তার মামা শাহাজাহান ও রেজাউল পরস্পর যোগসাজসে রিফাতকে বাড়ি থেকে ডেকে মধুমতি নদীর কালিশংকরপুর ঘাটে নিয়ে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার লাশ নদীতে ফেলে দেয়।
এদিকে,রিফাতের স্বজনরা তাকে না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে ব্যর্থ হয়ে গত বৃহস্পতিবার লাহুড়িয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ দায়ের করে। শুক্রবার সকালে এলাকাবাসী কথিত ঘাতক সোহাগকে ধরে পুলিশের নিকট সোপর্দ করে।

লাহুড়িয়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই সাইফুদৌলা বলেন, সন্দেহভাজন হিসেবে সোহাগকে আটক করে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহত রিফাতের লাশ পাওয়া যায় নি। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

(আরএম/এটিআর/সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৪)