মোঃ সিরাজ আল মাসুদ, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলে শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসবকে সামনে রেখে দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করেছেন স্থানীয় মৃৎ শিল্পীরা। যথাসময়ে প্রতিমা সাজিয়ে পূজারীদের হাতে তুলে দিতে দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে প্রতিমা বানানোর কাজ প্রায় শেষ করেছেন তারা।

হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা প্রতিবছর শরৎ ঋতুতে অনুষ্ঠিত হয় এবং পূজা উদযাপন প্রস্তুতি আগে থেকেই নেওয়া হয়। আসছে আগামী ৬ অক্টোবর শুভ মহালয়ার মধ্য দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে এবং ইতিমধ্যে পূজা উদযাপন প্রস্তুতি শেষ করেছে জেলার সকল পূজা মন্ডপ। ১১ অক্টোবর বোধন শেষে ষষ্ঠী পূজা এবং আগামী ১৫ অক্টোবর শুভ বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে এবারের শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।

সরেজমিনে, জেলার বিভিন্ন প্রতিমা কারিগর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিমা তৈরির মূল উপাদান আঠালো মাটি ও বাশঁ-খড় সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান দিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষে শেষ বারের মত তুলির আঁচড় টেনেছেন মৃৎ শিল্পীরা।

জাতীয় পূজা উদযাপন পরিষদ সদর উপজেলার করটিয়ার বৃহৎ পূজা মন্ডপের প্রতিমা শিল্পী আনন্দ পাল ও অর্পণ কুমার পাল বলেন, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার জন্য এবার প্রায় ১৫০ টি প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে। এবার আমি বড় ৭ টি প্রতিমা তৈরির অর্ডার পেয়েছি এবং আমার সহকর্মীরা দিন-রাত মিলিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ করেছি । প্রতিমা তৈরীর নির্দিষ্ট কোন মূল্য নির্ধারণ করা নেই, তবে প্রতি প্রতিমার আকার ও সাজসজ্জা অনুযায়ী পারিশ্রমিক নির্ধারণ হয়।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়ার বৃহৎ পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি গৌর চন্দ্র কর্মকার জানায়, প্রথমেই দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে টাঙ্গাইল হিন্দু-সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে শারদীয়া শুভেচ্ছা জানাই। আমরা প্রায় ১ মাস আগেই প্রতিমা বানিয়েছি এবং ইতিমধ্যে পূজা উদযাপনের সকল প্রস্তুতি শেষ করেছি। টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন থেকে সকল সহযোগিতা আমরা পেয়েছি ও যথেষ্ট নিরাপত্তা বিদ্যমান রয়েছে। আমরা দেবী মা দুর্গাকে বরণ করতে আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি। প্রতিবারের মতো এবারো মা দুর্গা অবতীর্ণ হয়ে অশুভ শক্তি নাশ করে মঙ্গল প্রতিষ্ঠা করবেন। সম্প্রীতিময় এই দুর্গোৎসব সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সারা জেলায় অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। গত বছর করোনার প্রকোপে পূজা উদযাপন কম হয়েছিলো তবে এবার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

(এসএম/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১)