স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেছেন, আন্দোলন করেই সরকারকে ডিসেম্বরের মধ্যে সংসদ নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা ফোরাম কেন্দ্রীয় সংসদ আয়োজিত খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সপ্তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অনেকেই বলছেন, আন্দোলন করে বিএনপি আসলে কিছুই করতে পারবে না? কিন্তু আমার এবং বিএনপির সব নেতাকর্মীর বিশ্বাস, বেগম জিয়া কৌশলগত কারণে এখন কিছুই বলছেন না। কিছুদিনের মধ্যে বলবেন।’

বিচারকপতিদের অভিশংসন প্রসঙ্গে রফিকুল ইসলাম বলেন, “কোনো আইন উত্থাপন করার আগে এর উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনা প্রকাশ করা উচিত। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে সেটি করা হয়নি। প্রতারণা করে যে বিল উত্থাপন করা হয় তার ফল কী হতে পারে জনগণ তা জানে।”

বিচারপতিদের অভিশংসন ক্ষমতা সংসদের হাতে দিয়ে তাদেরকে অস্বস্তিকর চাপের মধ্যে রেখে ক্ষমতা টিকাতে পারবে না বলেও হুঁশিয়ারি করেন তিনি।

রফিকুল বলেন, “মত প্রকাশের অধিকার হরণের জন্য সরকার সম্প্রচার নীতিমালা করছে। এখন বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের উপ-পরিচালক এ কে খন্দকার সত্য কথা বলায় তাকে এখন আওয়ামী লীগ রাজাকার বলছে।”

বিএনপির এ প্রবীণ নেতা বলেন, “দেশের সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে গেছে। দেশে আইনের শাসন নেই। অহরহ মানুষ খুন হচ্ছে, কিন্তু বিচার হচ্ছে না। ক্ষমতাসীনরা সম্পদ লুটপাট করছে, আর দুদক আইনের আওতায় না এনে ভালোর সার্টিফিকেট দিচ্ছে। দেশে মহাসংকট চলছে।”

এসময় সরকারকে নির্বাচনে বাধ্য করার আন্দোলন অল্প কিছু দিনের মধ্যে শুরু হবে জানিয়ে সংসদের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে আন্দোলন গড়ে তুলতে বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান রফিকুল ইসলাম।

সভায় স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মদ রহমত উল্লাহর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন-বিএনপির প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবদীন ফারুক, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবীর খোকন, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাতীয় কর্মজীবী দলের আলতাফ হোসেন সরকার প্রমুখ।

(ওএস/এটিঅার/সেপ্টেম্বর ১‘২, ২০১৪)