আশজাদ রসুল সিরাজী, গাজীপুর : বঙ্গবন্ধুু সম্পর্কে গাসিক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের অবাঞ্ছিত বক্তব্যের বিরুদ্ধে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় হামলার শিকার কাউন্সিলরসহ কয়েকজন সাংবাদিক নেতার পক্ষে বৃহস্পতিবার মানববন্ধন ও  প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের হাজীবাগ এলাকায় ২৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে বেলা ১১টায় এ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ অংশ নেন।

মানববন্ধন, আলোচনা সভা ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে একটি স্মারকলিপি পেশ করেন তাঁরা গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে।

প্রসঙ্গত আগেরদিন বুৃধবার গাজীপুর প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে জামাত-বিএনপিপন্থী কতিপয় দুষ্কৃতকারীর হাতে ২৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজাহান মিয়া সাজু সহ কয়েকজন সাংবাদিক নেতা হামলার শিকার হন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস বিকৃত করে অবাঞ্ছিত বক্তব্য দেওয়ার প্রতিবাদে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে গাজীপুর প্রেসক্লাবের ব্যানারে ওই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।

হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার হাজীবাগে আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তারা দলীয় সকল পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমের বহিষ্কার দাবি করেন। তাছাড়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতা বিরোধী বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে তাঁকে (মেয়র জাহাঙ্গীর) মেয়র পদ থেকেও অপসারণের দাবি তুলেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ফুলু মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ২৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজাহান মিয়া সাজু, ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাবেদ আলী জবে, গাজীপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাহিম সরকার, আওয়ামী লীগ নেতা আফছার উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস বিকৃত করে মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের অবাঞ্ছিত মন্তব্যের একটি অডিও-ভিডিও-র কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ায় গাজীপুর উত্তাল হয়ে উঠে। এ কারণে কয়েকদিন ধরে আওয়ামী নেতা-কর্মী ও ভক্ত-সমর্থকদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকা।

এদিকে এসব কর্মসূচি বানচাল করতে ভাড়াটিয়া লোকজন নানা অপকৌশলের আশ্রয় নেন বলে অভিযোগ করেন প্রতিবাদে অংশ নিতে আসা নেতৃবৃন্দ। তাঁরা বলেন, এ কারণেই প্রেসক্লাবের প্রতিবাদ সভায় হামলা হয়। গাজীপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এনামুল হক বলেন, জাহাঙ্গীর আলমের কিছু ভাড়াটিয়া মিডিয়াকর্মী নিজেদের অপকর্ম ধামাচাপা দিতে অসত্য সংবাদ প্রচারে মেতেছেন।

গাজীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মাসুদুল হক নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ওই সব দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিত করে আইনগতভাবে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান। সাধারণ সম্পাদক রাহিম সরকার দাবি করেন, বুধবার প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে কি ঘটেছে তা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখলেই পরিস্কার হয়ে যাবে। যদি ইতোমধ্যে তারা (প্রতিপক্ষ) সত্য গোপন করতে ওই ভিডিও ফুটেজ সরিয়ে না ফেলে তবে এর সহজ সমাধান হচ্ছে, সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ওই সময়ের ভিডিও ফুটেজ।

(এস/এসপি/সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১)