মোঃ সিরাজ আল মাসুদ, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান গাউসকে দলীর পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। বুধবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

অব্যাহতির পত্রে বলা হয়েছে- ‘গত ২৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদ সভায় নির্ধারিত এজেন্ডা মোতাবেক গত ২১ সেপ্টেম্বর বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কর্তৃক স্বাক্ষরিত আবেদনপত্রের (সংযুক্ত কাগজপত্রসহ) ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকারের কৃষিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সর্বসম্মতিভাবে অনুরোধ করা হয়।

উল্লেখিত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা-পর্যালোচনার পর নেতৃবৃন্দের নীতিগত সিদ্ধান্তে আপনাকে (হাজী মতিয়ার রহমান গাউস) বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। সেই সাথে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক পরিচয়সহ দলীয় সকল পরিচয় প্রদান থেকে বিরত থাকার জন্য আপনাকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।’

আরও উল্লেখ করা হয়- বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের অব্যাহতিজনিত কারণে পদটি শূন্য হওয়ায় সংগঠনের প্রথম যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদককে সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করা হলো।

জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে তাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তবে তাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি।’

এ বিষয়ে হাজী মতিয়ার রহমান গাউস বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের যে সিদ্ধান্তটা, এটা মূলত জেলা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত না। এটা বাসাইল-সখীপুরের এমপি জোয়াহেরুল ইসলামের সিদ্ধান্ত। কি কারণে আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, এটা চিঠিতে উল্লেখ নেই। আমাকে কোনও শোকজের চিঠিও দেয়নি। আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগ তারা দেয়নি। এটা আমাকে হেয় ও আওয়ামী লীগকে দুর্বল করার একটি প্রক্রিয়া। এটা ঢাকা সেন্টাল আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত দিবে। বিষয়টি নিয়ে আমি প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত যাব।’

(এসএম/এসপি/সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১)