মোঃ সিরাজ আল মাসুদ, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার পেকুয়া-পাথরঘাটা সড়কে পেকুয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজের কারণে তিন উপজেলার ১৩টি গ্রামের মানুষ দীর্ঘ ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। যে কোন সময় ব্রিজটি ভেঙে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।

জানা যায়, মির্জাপুর উপজেলার পেকুয়া-পাথরঘাটা সড়কে ওই ব্রিজ দিয়ে মির্জাপুরের বাঁশতৈল ইউনিয়নের অভিরামপুর, কটামারা, ইনথখাচালা, বংশীনগর, দিঘীবাড়ি, মুথারচালা ও বালিয়াজান, পাশের সখিপুর উপজেলার রাজাবাড়ি, দেওয়ানপাড়া, বাজাইল এবং গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া, মুনচালা ও পাগুড়াচালা গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকে। সংস্কারের অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ওই ব্রিজ দিয়ে চলাচলে ওইসব এলাকার মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। মির্জাপুর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে

জানা যায়, ১৯৯৮ সালে কেয়ার বাংলাদেশ ৪৪ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৪ ফুট প্রস্থের ওই ব্রিজটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করে। ব্রিজটি নির্মাণের পর দীর্ঘ ২৩ বছর অতিবাহিত হয়েছে।

ওই ব্রিজ দিয়ে মালবাহী ভ্যান, কাভার্ড ভ্যান, সিএনজি চালিত অটোরিকশা সহ ছোট-বড় যানবাহন দিনরাত চলাচল করে থাকে। সাম্প্রতিক বন্যায় ব্রিজের মাঝখানের সø্যাব ভেঙে রড বেড়িয়ে পড়েছে। ভাঙা অংশটি অরক্ষিত থাকায় ঝুঁকি আরও বেড়েছে।

বাঁশতৈল ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান মিল্টন জানান, পেকুয়া ব্রিজটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পরস্পর পাশের তিনটি উপজেলার ১৩টি গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। একমাত্র সড়ক হওয়ায় স্থানীয়রা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে।

মির্জাপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. আরিফুর রহমান জানান, ব্রিজটির বর্তমান অবস্থা সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। ব্রিজটি অনেক পুরাতন ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ওই স্থানে নতুন একটি ব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে।

(এসএম/এসপি/অক্টোবর ০২, ২০২১)