এ কে আজাদ, রাজবাড়ী : দেড় যুগের ও বেশি সময় পর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ রাজবাড়ী জেলা শাখার বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্ধিত সভা কে কেন্দ্র করে জেলা জুড়ে নেতাকর্মীদের আনন্দ-উল্লাসের কমতি ছিলো না। 

শনিবার (২ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে যুবলীগের আহ্বায়ক মো. জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল। কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল হক চৌধুরী (রাসেল) প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখবেন। আর বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা বিপ্লব মোস্তাফিজ, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (মৌসুমী কবিতা), অ্যাডভোকেট ইয়াছির আরাফাত রামীম প্রমূখ।

অনুষ্ঠান শুরু হলে রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি কাজী কেরামত আলী উপস্তিত হয়ে বক্তব্য প্রদান করেন।

প্রথমেই কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল যুবলীগের গঠনতন্ত্র নিয়ে আলোচনা শেষ প্রতিটি উপজেলা যুবলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহবায়ক, যুগ্ন আহবায়ক দের কে প্রশ্ন করেন কেন দীর্ঘদিন ধরে কমিটি গঠন করা হলো না। এ সময় তিনি আগামী ২ মাসের সময় সীমা বেধে দেন তাদের।

পরে জেলা যুবলীগের সদস্যরা বক্তব্য প্রদান করেন। এ সময় পাংশা উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি দিবালোক কুন্ডু জীবন বলেন, আমি সাবেক পাংশা উপজেলার ১৭ টি ইউনিয়ন পূর্ণাঙ্গ করে সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলাম। আর এখন কেন্দ্রীয় কমিটির কাছ থেকে পাংশা, কালুখালি ও বালিয়াকান্দি উপজেলার আহবায়ক কমিটি নিয়ে এসে সব নিজেদের ফায়দা হাসিল করছে। তারা তিন মাসের জন্য কমিটি এনে ৪ বছর রয়েছে অথচ একটা ও ইউনিয়ন কমিটি করতে পারে নাই। তবে এদের আজ একটা সময় সীমা বেধে দেওয়া হলো কমিটি করার জন্য, এটা ঠিক হলো না, কারণ যারা এই আহবায়ক কমিটিতে আছে তারা কেউ বিগত কমিটিতে ছিলো না। আর এদের দিয়ে কমিটি করা হলে অযোগ্য দের সেই কমিটিতে দেওয়া হবে।

এ সময় পাংশা উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বক্তব্য কালে বলেন, আমরা ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের বিএনপির সময় এই যুবলীগ কে একটি শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে লড়াই সংগ্রাম করেছে। আজ আমরা অবহেলিত।

কেন্দ্রীয় নেতারা এ সময় সিদ্ধান্ত নেন আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সকল উপজেলার কমিটি গঠন করতে না পারলে আহবায়ক কমিটি ভেঙে দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, প্রায় ১৭ বছর আগে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিলা রাজবাড়ী জেলা যুবলীগের। ওই কমিটির আহবায়ক ছিলেন মো. জহুরুল ইসলাম, যুগ্ন আহবায়ক করা হয়েছিল আবুল হোসেন শিকদার ও মো. জাহাঙ্গীর জলিল কে।

(একে/এসপি/অক্টোবর ০২, ২০২১)