বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মংলা বন্দর চ্যানেলের পশুর নদীর হাড়বাড়িয়া এলাকায় সিমেন্টের কাচামাল ক্লিংকার বোঝাই একটি কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে। বিদেশী জাহাজ থেকে পণ্য বোঝাই করে খুলনা যাবার পথে শুক্রবার সকালে জাহাজটির তলা ফেটে এদুর্ঘটনা ঘটে।

বন্দর চ্যানেলে এই কার্গো জাহাজ ডুবির ফলে শুত্রুবার সকাল ১০টার পর থেকে আন্ত:র্জাতিক সমুদ্র বন্দর মংলা’র জেটিতে জাহাজ আগমন-র্নিগমন বন্ধ করে দেয়া হয়। নৌবাহিনীর ডুবুরীরা অনেক চেষ্টার পর ডুবে যাওয়া কার্গোটির অবস্থান মার্কিং করতে সক্ষম হওয়ায় ৬ঘন্টা বন্ধ থাকার পর বিকাল ৪টায় বন্দর চ্যানেলটি ঝূঁকিমুক্ত ঘোষনা করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার কে এম আখতারুজ্জামান। তবে ডুবে যাওয়া কার্গোটির বন্দর চ্যানেল থেকে ‘না তোলা পর্যন্ত’ বন্দর জেটিতে জাহাজ আগমন-র্নিগমন খুবই সর্তকতার সাথে করতে হবে।

মংলা বন্দরের হারবার বিভাগ জানায়, বন্দর চ্যানেলের পশুর নদীর হাড়বাড়িয়ায় অবস্থানরত চীনের পতাকাবাহী এম,ভি তাই হাই হু জাহাজ থেকে ৬শ ৩০ মেট্রিক টন ক্লিংকার বোঝাই করে কার্গো জাহাজ এমভি হাজেরা-১ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে খুলনার রূপসা এলাকার সেভেন সার্কেল সিমেন্ট ফ্যাক্টরীর উদ্দেশ্যে যাবার পথে হাড়বাড়িয়া এলাকায় তলা ফেটে কার্গো জাহাজটি ডুবে যায়। এসময় জাহাজে থাকা ৮ জন নাবিক সাতরিয়ে কুলে উঠেতে সক্ষম হয়। কার্গো জাহাজটি ফিটনেসবিহীন না কি অতিরিক্ত পন্য ডুবে যাওয়া কার্গোটির বোঝাইয়ের কারণে জাহাজের তলা ফেটে ডুবেছে তা জানাজায়নি। বন্দর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করতে রবিবার অফিস অওয়ারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে বলে জানিয়ে।

বন্দর চ্যানেলে কার্গো ডুবির পর সকাল ১০টা থেকে ওই চ্যানেল দিয়ে সকল ধরণের নৌ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে মংলা বন্দর কতৃপক্ষ। জাহাজের স্থান মার্কিং করে বন্দরের জাহাজ চলাচলের ব্যবস্থা দ্রুত চালু করার জন্য বন্দর হারবার বিভাগ নৌবাহিনীর সাহায্য চায়। যাতে করে ডুবন্ত কার্গো জাহাজটি দ্রুত মার্কিং করা সম্ভব হয়। শুক্রবার দুপুর থেকে ওই এলাকায় নৌবাহিনীর ডুবুরীরা কাজ শুরু করে বিকাল ৪টায় ডুবন্ত কার্গো জাহাজটির অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।

তিথিরপাড়া নেভিগেশন কোম্পানীর ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজ এমভি হাজেরা-১ এর মালিক বাদশা হাওলাদার তার জাহাজটি অতিরিক্ত পন্য বোঝাই না ফিটনেস না থাকার কারনে ডুবেছে ? সেপ্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে তিনি জানান, আর্থিক ভাবে অসচ্ছল থাকায় তার পক্ষে বন্দর চ্যানেলে ডুবে যাওয়া কার্গোটি তোলা সম্ভব না। এজন্য তিনি মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষে সহযেিেগতা চেয়েছেন।

(ওএস/এটিআর/সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৪)