এ কে আজাদ, রাজবাড়ী : রাজবাড়ী জেলা শহর রক্ষা বেড়িবাঁধে এসে ঠেকেছে প্রমত্তা পদ্মা। একের পর এক বিলীন হচ্ছে ঘর বাড়িসহ ধর্মীয় ও সরকারি স্থাপনা। সম্প্রতি কয়েক দিন ধরে অব্যাহত রয়েছে পদ্মার ভাঙন। 

রবিবার (৩ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পদ্মার তীব্র ভাঙন কয়েক দিন যাবত সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের গোদার বাজার ঘাট সংলগ্ন সিলিমপুর এলাকায় চললেও আজ পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড এলাকায় ভাঙতে শুরু করেছে।

এর আগে গত শুক্রবার ২৬ সেপ্টেম্বর বিকেল থেকে মিজানপুর ইউনিয়নের চর ছিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদী ভাঙনের কবলে পড়ে। যদিও শনিবার ২৭ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়টি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। সেই থেকে অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গাছের নিচে ক্লাস করছে।

স্থানীয়দের সাথে কথা হলে তারা অভিযোগ করে বলেন, মাত্র কয়েক মাস আগে ৩৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এখানকার ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় সিসি ব্লক দিয়ে স্থায়ীভাবে নদী তীর রক্ষার কাজ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ওই কাজ শেষ হতে না হতেই ১৯টি স্থানের সিসি ব্লক ধসে গিয়ে তা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। তারা মনে করেন, নিম্নমানের কাজ করায় এই ক্ষতি হচ্ছে।

আব্দুর রহিম নামে এক ব্যক্তি বলেন, গত শুক্রবার বিকেল থেকে পুনরায় ভাঙন শুরু হয়ে তা এখনো অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার যখন ভাঙন শুরু হয় তখন আমরা ঘরের আসবাবপত্র ও কিছু কিন্তু জিনিসপত্র সরাতে পারলেও বাড়ি ঘর নদীতে চলে গেছে।

ভাঙন শুরু হওয়ার পর থেকে ভাঙন কবলিত এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন জিও ব্যাগ ফেলতে শুরু করেছে। এখনো এ কাজ অব্যাহত রয়েছে।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আহাদ জানিয়েছেন, ভাঙন শুরুর পর থেকে ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ও টিউব ব্যাগ ফেলতে শুরু করেছি। ভাঙনের বিষয়ে তিনি বলেন, নদীর গতিপথ পরিবর্তন এবং মাঝ নদীতে ডুব চরের সৃষ্টি হওয়ায় ভাঙন শুরু হয়েছে। যে কারণে তারা নদী তীর রক্ষা নতুন ডিজাইন তৈরি করেছেন। ওই ডিজাইনে কাজ করা এবং মাঝ নদী দিয়ে স্রোতধারা প্রবাহিত করা সম্ভব হলে ভাঙন প্রতিরোধ হবে।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ০৩, ২০২১)