আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : ঋতুর রানি শরৎ মানেই নীল আকাশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সাদা মেঘের ভেলা আর কাশবনে ফুটে থাকা কাশফুলের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। 

শরৎ আসলেই কাশফুলের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে গ্রাম-বাঙলা থেকে শুরু করে শহরের আনাচে-কানাচে ও নদীর পাড়ে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো কাশ বাগানে সাদা ধবধবে কাশফুল আর নীল আকাশের সাদা মেঘের ভেলাকে উপভোগ করতে কাশবনে ছুটে যাচ্ছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। কেউবা আবার নীল-সাদাকে স্বাক্ষী রেখে প্রিয়জনের হাত ধরে মিশে গিয়েছেন কাশফুলের অভয়ারন্যে।

প্রকৃতিপ্রেমী জিনাত জাহান খান ও সামিয়া আক্তার জানান, নীল আকাশের নীচে সাদা কাশবন প্রকৃতিকে সাজিয়ে তুলেছে অপরূপ ভাবে। মনকে প্রফুল্ল রাখতে জীবনের শতব্যস্ততার মাঝেও শরৎ আসলেই নীল-সাদার এই অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে বারবার মন ছুটে যায় কাশবনে। শরতের কাশফুল নিয়ে কবিতা, গান, গল্পের শেষ নেই। কবি শাহনাজ রুবির ভাষায়, এই মধুরিমা গোধুলী আমায় দাওনা! তোমার অপরূপ শ্যামশ্রী অনির্বাচনীয়, আমার উদাসী মনে ধূলি মলিন বিবর্ণতার অবসান হয়েছে, দাঁড়িয়েছি কাশবনে। আমিতো তাকিয়ে দেখি বিচিত্র পুষ্প বিকাশের লগ্নকালের পথ চেয়ে, কখন ফুটবে তোমরা বন বনানীর স্নেহময় ছায়ায়, চাতকের মতো দীর্ঘ তৃষ্ণায় নিবৃত্তি হবেনা। আমিতো বঙ্গ প্রকৃতিতে হৃদয়ের দ্বার খুলে বসে আছি, আমি এক বাংলার মেয়ে বলছি, ফুটে যাও, ফুটে যাও। সজল দিগন্তের ভেসে চলা বলাকার সারিরা আমায় বার বার স্মরণ করিয়ে দেয়, নীল এবার ঘরে ফিরে যাও। ঘরে ফিরে যাও, সন্ধ্যা রানী এলো বুঝি ঘনিয়ে, এবার ফিরে চলো। শরতের এ কাশফুল শুধু প্রকৃতিপ্রেমীদের চাহিদাই মেটায় না। এ ফুলের শুকনো গাছ জ্বালানি, ঘরের বেড়া ও ঝাড়– তৈরির উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে । এছাড়াও গ্রাম্য কবিরাজরা কাশফুল ও গাছের মূল ঔষধি কাজেও ব্যবহার করে আসছে যুগ যুগ ধরে।

(টিবি/এসপি/অক্টোবর ০৩, ২০২১)