রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত নাতনিকে (ছেলের মেয়ে) চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে এসে মাথায় পলেস্তারা খসে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন দাদী আয়েশা খাতুন । রবিবার সকালে সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনের কার্নিশের পলেস্তারা খসে তার মাথায় পড়লে তিনি গুরুতর আহত হন। তার মাথায় ১৮টি সেলাই দেয়া হয়েছে বলে পরিবারের সদস্যরা জানান। আয়েসা খাতুন সদর উপজেলার মাছখোলা গ্রামের আব্দুল জব্বারের স্ত্রী। রবিবার সকালে এঘটনার পর অনেকটা গোপনেই তাকে চিকিৎসা দিচ্ছেন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসকরা। 

আহতের স্বামী আব্দুল জব্বার জানান, তাদের ৪ বছর বয়সী পুতনি রাশেদা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল। চিকিৎসা করাতে তাকে তিনদিন আগে ভর্তি করানো হয় সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতালে। তবে সেখানে চিকিৎসা করিয়ে সে সুস্থ্য না হওয়ায় রোববার সকালে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জরুরী বিভাগে আগে ঢুকানো হয় রাশেদাকে। পরবর্তীতে তার স্ত্রী জরুরী বিভাগে ঢুকতে গেলে কার্নিশ ভেঙে মাথায় পড়লে তিনি গুরুতর আহত হন। তার মাথায় ১৮টি সেলাই লেগেছে বলে দাবি করেন। এখনো তার স্ত্রী আশঙ্কামুক্ত নন বলে জানান তিনি। পুতনিকে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে তার স্ত্রী গুরুতর আহত রোগী হয়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

সিভিল সার্জন ডা. মো: হুসাইন সাফায়েত এঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, হাসপাতালের দুর্বল ছাদ সংস্কারের জন্য আজই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে তিনি চিঠি পাঠাবেন । এছাড়া আহত বৃদ্ধার চিকিৎসার সকল ব্যবস্থা হাসপাতালের উদ্যোগেই হচ্ছে বলে জানান সিভিল সার্জন।

(আকে/এসপি/অক্টোবর ০৩, ২০২১)