অরিত্র কুণ্ডু, ঝিনাইদহ : যৌতুক দিতে না পারায় দুই সন্তানের জননী নাজমিন নাহার (২২) নামে এক গৃহবধুকে নিষ্ঠুর নির্যাতন চালিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তার শরীর ক্ষতবিক্ষত। মাথায় পাঁচটি সেলাই। গলা, ঘাড় ও পিঠে আঘাতের ক্ষত চিহ্ন। হতদরিদ্র হওয়ায় তিনি মামলাও করতে পারছেন না। প্রতিনিয়ত মামলা না করতে হুমকী দিচ্ছেন পাষন্ড স্বামী ইকবাল হোসেন বিশ্বাস। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আড়মুখ কুঠিপাড়া গ্রামে। 

নাজমিন নাহার রবিবার (৩ অক্টোবর) বিকালে সদর হাসপাতালের বেডে শুয়ে কথা বলেন গনমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গেহ।

তিনি অভিযোগ করেন, বিয়ে ৫ বছর ধরে তিনি নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। দরিদ্র পিতা ছামসুদ্দীন বিশ্বাস মেয়ের সুখের দিকে তাকিয়ে জামাইকে যৌতুক হিসেবে দিয়েছেন ৩৫ হাজার টাকা। এখন আর যৌতুকের টাকা দিতে পারছেন না তিনি। নাজমিন এখন তার শিশু দুই সন্তান মুজাহিদ ও সুমাইয়াকে নিয়ে চিন্তিত।

জানা গেছে, গত ২৯ সেপ্টম্বর যৌতুকের জন্য নাজমিনের স্বামী ইকবাল হোসেন মারধর শুরু করেন। এই নির্যতনে যোগ দেয় তার শ্বশুর আকমল হোসেন, শ্বাশুড়ি মনোয়ারা বেগম ও ভাসুর আঙ্গুর বিশ্বাস। তাদের নির্যাতনে জ্ঞান শুন্য হয়ে পড়ে নাজমিনের। খবর পেয়ে সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রাম থেকে তার ভাই বিল্লাল হোসেন ও স্বজনরা এসে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। নাজমিনের ভাই বিল্লাল হোসেন জানান, হাসপাতাল থেকে রোগীর ছাড়পত্র দিলে তারা মামলা করবেন।

(একে/এসপি/অক্টোবর ০৩, ২০২১)