এ কে আজাদ, রাজবাড়ী : বছরের অধিকাংশ সময় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার নামে পরিচিত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে থাকে যানযট। যার অন্যতম কারণ কখনো পদ্মায় তীব্র স্রোত ও প্রর্যাপ্ত ফেরি সংকট। এতে করে ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রী ও গাড়ি চালকদের।

মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) সকাল থেকেই দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় বাড়তে থাকে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রী বাহী পরিবহন ও ছোট ছোট প্রাইভেট গাড়ি পারাপার করতে দেখা যায়।

তবে পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। যা কি না এক থেকে দুদিন আগে ঘাট এলাকায় এসে আটকে রয়েছে।এছাড়াও নতুন করে আসা পণ্যবাহী ট্রাকে গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় আটকে দেওয়া হয়।

সরেজমিনে ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার এলাকা ছয় শতাধিক যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ এসব পণ্যবাহী অসংখ্য ট্রাক দুই দিন আগে নদী পার হতে এসেও ফেরির নাগাল পায়নি। তাদের দিনের পর দিন সিরিয়ালে অপেক্ষা করে ফেরির নাগাল পরে হচ্ছে।

ঘাট-সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, হঠাৎ করেই দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ রুটে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ বেড়েছে। ফলে নদী পার হতে ঘাটে আসা যানবাহনগুলোকে দীর্ঘ সময় ঘাট এলাকায় আটকে থাকতে হচ্ছে। তবে গাড়ির সিরিয়াল কমাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তা ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।

খুলনা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী পরিবহনের যাত্রী আমেনা খাতুন বলেন, ভোরে খুলনা থেকে রওনা হয়ে ঘাট এলাকায় আসি সকাল সাড়ে ১২নাগাদ। এখন বেলা ৩ টা বেজে গেছে তবুও ফেরির নাগাল পেলাম না । কখন ফেরির নাগাল পাবো তা ও বলতে পারছি না, এখনো সামনে প্রায় শতাধিক গাড়ি রয়েছে। প্রচন্ড গরমে শিশুসন্তান নিয়ে বিপাকে পড়ে গেছি।

কুষ্টিয়া থেকে আসা ট্রাকচালক রহিম শেখ বলেন, কিছুদিন আগেও এই ঘাট দিয়ে ঢাকা গিয়েছি। তখন এত যানজট ছিল না। আধা ঘণ্টার মধ্যে ফেরিতে উঠতে পেরেছিলাম। কিন্তু গতকাল থেকে ঘাটে এসে আটকে আছি। এখনো ফেরির দেখা পাইনি।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ রুটে বর্তমানে ২০টি ফেরি চলাচল করছে। হঠাৎ করেই যানবাহনের চাপ বাড়ায় ঘাট এলাকায় যানজট তৈরি হয়েছে। যানজট নিরসনে আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যানবাহনগুলো ফেরি পার করছি।

(একেএ/এএস/অক্টোবর ০৫, ২০২১)