রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : বাড়িসহ জমি লিখে না দিয়ে তালাক দেওয়ায় দ্বিতীয় স্ত্রী মোসলেমা খাতুনকে নির্যাতনের পর মাথা, দু’ হাত ও দু’ পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ইছামতী নদীতে ফেলে লাশ গুম করার চেষ্টার ঘটনায় দোষী স্বামীসহ চারজনকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে। 

বুধবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা শহরের শহীদ আলাউদ্দিন চত্বরে আলীপুর গ্রামবাসির ব্যানারে এ কর্মসুচি পালিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন আলীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান মন্টু, সাংগঠণিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিম, ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম লাকী, সোহাগ হোসেন, নিহতের বাবা জমিরউদ্দিন সরদার, মা শাহিদা খাতুন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, প্রথম স্ত্রী রাবেয়া খ্তাুন দ্বিতীয় স্ত্রী মোসলেমাকে মেনে না নেওয়ায় সাতক্ষীরা সদরের হাড়দ্দহ গ্রামের রফিকুল ইসলাম বিপদে পড়েন। একপর্যায়ে মোসলেমাকে অন্যত্র জমি কিনে বাড়ি করে দিন। সেই বাড়িসহ জমি লিখে না দিয়ে রফিকুলকে তালাক দিয়ে সৌদি আরবে চলে যায় মোসলেমা। বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে আলীপুরে মায়ের কাছে রেখে যাওয়া চারবছরের একমাত্র ছেলে মোস্তাকিমকে হত্যার হুমকি দিয়ে ২৭ জুন দুপুরে নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে এনে রফিকুল ও তার লোকজন নৃশংসভাবে শরীর থেকে মাথা, হাত ও পা বিচ্ছিন্ন করে লাশ ইছামতী নদীতে ফেলে দেয়।

দেবহাটার বসন্তপুর থেকে ২৮ জুন সকালে মোসলেমার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মোসলেমার মা শাহীদা খাতুন বাদি হয়ে রফিকুল, তার প্রথম স্ত্রী রাবেয়াসহ ছয় জনের নামে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। রাবেয়াসহ দু’জন গ্রেপ্তার হলেও এ মামলার প্রধান আসামী রফিকুলসহ চারজন গত চার মাসেও গ্রেপ্তার হয়নি। মামলার সকল পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচার শেষ করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার দাবি জানান বক্তারা।

(আরকে/এসপি/অক্টোবর ০৬, ২০২১)