কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মায় পানি কমে যাবার সাথে সাথে ফিলিপনগর ইউনিয়নের ইসলামপুর থেকে আবেদের ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি এবং ৬‘শ হেক্টর আবাদি জমি তলিয়ে গেছে। ভাঙন অব্যাহত থাকলে হুমকির মুখে পড়বে সদ্য নির্মিত ভারত-বাংলাদেশ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনও।

ভাঙন কবলিত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মহিষকুন্ডি-রায়টা বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে ফিলিপনগর ইউনিয়নের ইসলামপুর থেকে আবেদের ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকায় পদ্মা নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙনের ফলে ইসলামপুর, ফিলিপনগর, উত্তর ফিলিপনগর ও গোলাবাড়ি গ্রাম পদ্মায় বিলীন হতে চলেছে।

ভাঙনের মুখে ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইসলামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ইসলামপুর মক্তব ও খানকা শরীফ, ইসলামপুর বাজার, চাইপাড়া জামে মসজিদ, ফিলিপনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ফিলিপনগর সংযুক্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাচারীপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর ফিলিপনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোলাবাড়িয়া মাদ্রাসা যে কোন সময় বিলীন হয়ে যাবে। সরেজমিনে দেখা গেছে ভাঙন থেকে মাত্র কয়েক ফুট দুরত্বের মধ্যে ইসলামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবন এবং চাইপাড়া জামে মসজিদ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমূল হক পাভেল জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাময়িক পদক্ষেপ হিসাবে বালির বস্তা দেবার জন্য ২ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দিন জানান, সেখানে পদ্মার বর্তমান অবস্থা খুবই বিপদজনক পর্যায়ে রয়েছে। আমরা সেখানকার ভু-খন্ড ও স্থাপনা রক্ষার জন্য আপদকালীন একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করলেও এখনো বরাদ্ধ না পাওয়ায় কিছুই করা সম্ভব হচ্ছেনা। তবে, স্থায়ী সমাধানের জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন বলে তিনি জানিয়েছেন।

(কেকে/সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৪)