আবীর আহাদ


বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শৌর্য ত্যাগ ও বীরত্বে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিশেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এজন্যই বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। ঐতিহাসিকভাবে তাঁদের স্বকীয়তা ও মর্যাদা স্বীকৃত। কিন্ত এদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সাথে সম্পৃক্ত একশ্রেণীর পরশ্রীকাতর ও প্রতিহিংসাপরায়ণ ব্যক্তিরা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সেই স্বকীয়তা ও মর্যাদা ঢেকে দেয়ার লক্ষ্যে রাজনৈতিকভাবে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সৃষ্টি করে নিজেরাসহ তাদের আত্মীয় পরিজনকে, এমনকি অর্থের বিনিময়ে রাজাকারদেরও মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে দিচ্ছেন! এ-জন্যে দায়ী বিভিন্ন সরকারের মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক গোঁজামিল সংজ্ঞা ও ভুল নির্দেশিকা। এর সুযোগ গ্রহণ করেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ইউনিয়ন উপজেলা জেলা ও কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল। সুযোগ নিয়েছে বিভিন্ন সময়ের ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী এমপি, আমলা ও বিভিন্ন পর্যায়ের দলীয় নেতৃবৃন্দ। বর্তমানে নিচ্ছে জামুকা নামক জাদুর কাঠি। অবস্থা এখন এমন হয়েছে যে, যেখানে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা ১লক্ষ ৫০ হাজারের নিচে, সেখানে সরকারি তালিকায় এ পর্যন্ত কমবেশি ২ লক্ষ ৩৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধার নাম ঠাঁই পেয়েছে যার মধ্যে প্রায় ৮০/৮৫ হাজারই অমুক্তিযোদ্ধা! এর মধ্যে কয়েক হাজার রাজাকারও রয়েছে!

এ-কথাগুলো আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে অনেকবার বলেছি যে, বঙ্গবন্ধুর ৭২ সালের মুক্তিযোদ্ধা সংজ্ঞার আলোকে মুক্তিযোদ্ধা নির্ধারণ করা মোটেই কঠিন নয়, তেমনি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিতাড়ন করাও মোটেই দু:সাধ্য নয়। বঙ্গবন্ধুর সেই সংজ্ঞা হলো এমন : "মুক্তিযোদ্ধা মানে এমন একজন ব্যক্তি যিনি যেকোনো একটি সশস্ত্র বাহিনীর সাথে জড়িত থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন=Freedomfighter means any person who had served as a member of any force engaged in the War of Liberation. এ নিরিখে দরকার সরকারের সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা। কঠোর মনোভাব। সরকার যদি বঙ্গবন্ধুর উক্ত মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সংজ্ঞা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা তদন্ত কমিশন গঠন গঠন করে, সেই কমিশনের মধ্যে বিচার বিভাগ, সশস্ত্রবাহিনী ও মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধকালীন সুপরিচিত কমান্ডারদের সম্পৃক্ত করতেন তাহলে মাত্র পাঁচ থেকে ছয় মাসের মধ্যেই একটি পূর্ণাঙ্গ ও অবিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধা তালিকা তৈরি করা সম্ভব হতো।

অনেকে বলে থাকেন যে, মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত ও বিভিন্নভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করার জন্যে যেসব রাজনৈতিক নেতা, তৎকালীন এমএনএ, এমপিএ, কূটনীতিক, স্বাধীনবাংলা বেতারকর্মী, সাংবাদিক, শিল্পী, সাহিত্যিক, খেলোয়াড়, ডাক্তার, নার্স, মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তাকারী প্রমুখ বিপুল অবদান রেখেছেন তারাও কি মুক্তিযোদ্ধা নন? এ-প্রসঙ্গে উদাহরণ দেয়া হয় যে, সামরিক বা সশস্ত্রবাহিনীতে অনেক ধোপা, নাপিত, গোয়েন্দা, কেরানি, প্রকৌশলী, ব্যাণ্ডপার্টি, ডাক্তার, নার্স, পাচক প্রভৃতি থাকেন, তারাও তো সামরিক বা সশস্ত্রবাহিনীর সদস্য বলে বিবেচিত। তাহলে সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি ও মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িত ঐসব অ-সশস্ত্র ব্যক্তিবর্গ মুক্তিযোদ্ধা বলে বিবেচিত হবেন না কেন?

তাদের জ্ঞাতার্থে বলতে হয়, সামরিক বা সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের মধ্যকার উপরোল্লেখিত ঐসব অ-সশস্ত্র সদস্যদের অবস্থান দেখা গেলেও তারা কিন্তু সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। প্রয়োজনে তারাও যুদ্ধের মাঠে অস্ত্র নিয়ে নেমে পড়ার যোগ্যতা রাখে। আর আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িত ঐসব অ-সশস্ত্র ব্যক্তিবর্গের কোনোই সামরিক প্রশিক্ষণ ছিলো না, ফলে যুদ্ধের রণাঙ্গনে তাদের কোনোই ভূমিকা ছিলো না; তারা ছিলেন নিরাপদ দূরত্বে। তারা রণাঙ্গনের পরিবেশ ও পরিস্থিতি দেখেননি। তাদের যুদ্ধের বিভীষিকা, রক্ত ও মৃত্যুর সম্মুখীন হতে হয়নি! অন্যদিকে সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের সশস্ত্র সহযোগী রাজাকার বাহিনীর বিরুদ্ধে মাঠে-ময়দানে খেয়ে-না-খেয়ে জীবন দিয়ে-নিয়ে, মরে-মেরে, মারাত্মক আহত হয়ে জীবনপণ যুদ্ধ করেছেন, তাও তারা দেখেননি। সুতরাং সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে অ-সশস্ত্রদের গলিয়ে ফেলা কোনোভাবেই সমীচীন নয়। মুক্তিযুদ্ধের ঐ অ-সশস্ত্র ব্যক্তিবর্গকে অন্যকোনো অভিধায় অভিষিক্ত করুন, প্রয়োজনে তাদের রাষ্ট্রীয় ভাতা বাড়িয়ে দিন তাতে আপত্তি নেই; কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা হিশেবে নয়। ঐতিহাসিক অবদানে যার যা প্রাপ্য মর্যাদা তাকে তাই দেয়ার উদার মানসিকতা থাকতে হবে। অন্যথায় তা হবে ইতিহাস বিকৃতি। মুক্তিযুদ্ধের রক্তাক্ত প্রান্তরে কোনো সম্পৃক্ততা না থাকলেও সবাইকে মুক্তিযোদ্ধা হতেই হবে এ কেমন বিকৃতবিলাসী আবদার? আসলে বাঙালি মুসলমান চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য পরশ্রীকাতরতা ও হিংসায় আক্রান্ত হয়ে এমনতর অস্বাভাবিক আচরণ করা হচ্ছে। এর ভেতর মাসিক সম্মানী ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধাদি ভোগ করার লোভও কাজ করছে। আগেই বলেছি, মুক্তিযুদ্ধের ঐসব অ-সশস্ত্র ব্যক্তিদের অন্য কোনো মর্যাদাপূর্ণ অভিধায় অভিষিক্ত করে মুক্তিযোদ্ধাদের চাইতে সম্মানীর পরিমাণ বাড়িয়ে দিন তাতে আপত্তি নেই; কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা বলে তাদের স্বীকৃতি দেয়া চলবে না।

সরকার, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ, বেসামরিক আমলা, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী প্রমুখদের এভাবে বিবেচনা করতে হবে যে, মুক্তিযোদ্ধাদের শৌর্য ত্যাগ রক্ত ও বীরত্বে অর্জিত দেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে বলেই যারা জীবনে যা কল্পনাও করেননি তারা তাই হয়েছেন, হচ্ছেন ও হতেই থাকবেন। সুতরাং সেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে অন্য কাউকে সমান্তরাল ভাববেন, অ-মুক্তিযোদ্ধাদের ভারে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা অসম্মানিত হবেন, মুক্তিযোদ্ধাদের মতো ভুয়ারাও সমান মর্যাদা লাভ করবেন এবং তা চেয়ে চেয়ে দেখবেন এটাতো কোনো সভ্য ও বিবেকবানদের কাজ হতে পারে না। তাই জাতীয় ইতিহাসের স্বার্থে অতি দ্রুত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্য থেকে অ-মুক্তিযোদ্ধাদের বিতাড়ন ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় তথা সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলে জাতীয় দায়িত্ব পালন করবেন, এটাই সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি।

ইতোমধ্যে সরকারের জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ২০১৭ ও ২০২১ সালে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইয়ের কয়েকটি কার্যক্রম শেষ করেছে। এখন তারা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের কাজে হাত দিয়েছে। ১ম পর্ব নামক একটি প্রক্রিয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা প্রকাশ করেছে তাকে আমরা অন্ধকারের মধ্যে আলোর ছটা আখ্যায়িত করলেও ২য় পর্ব থেকে চতুর্থ পর্বে নানান জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে প্রকাশিত তালিকাদ্বয়ের মধ্যে ভারতীয় তালিকায় নাম রয়েছে এমন কয়েক হাজার মুক্তিযোদ্ধার নাম না আসায় বিস্ময়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে প্রথম পর্বের তালিকায় ( বিশেষ করে লাল মুক্তিবার্তার মধ্যে বিপুলসংখ্যক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা) অনেক অমুক্তিযোদ্ধার নাম প্রকাশিত হয়েছে বলে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অভিযোগ উঠেছে। এমতাবস্থায় প্রকাশিত তথাকথিত সমন্বিত তালিকা বিপুল প্রশ্নভারে জর্জরিত হচ্ছে এবং আলোর ছটাটি আবার অন্ধকারে একেবারেই মিলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আমরা পর্বভিত্তিক ঘোষিত তালিকার গতিপ্রকৃতি দেখে এটাই বুঝতে পেরছিলাম যে, পর্দার আড়ালে একটি বাণিজ্যিক ধান্দায় সব ভুয়াদের বহাল রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে!

আমরা চাই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা। চাই তাঁদের মহা-নামের স্বকীয়তা। আমরা চাই তাদের সঠিক তালিকা। আমরা চাই, মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় যেমন একজনও অমুক্তিযোদ্ধা থাকতে পারবে না, তেমনি কোনো অবস্থাতেই প্রকৃত একজন মুক্তিযোদ্ধা তালিকা বহির্ভূত থাকবেন না। এ বিষয়টি নিয়ে আমি একাধিকবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। লাল মুক্তিবার্তা, বেসামরিক গেজেট, বাহিনী গেজেট, মুজিবনগর, যুদ্ধাহত ও অন্যান্য তালিকার মধ্যেও বিপুলসংখ্যক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার অস্তিত্ব আছে, এটাও তাঁকে বলেছি। তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু আমরা পর্বভিত্তিক প্রকাশিত তালিকার শেষে সমন্বিত তালিকা দেখে আশ্বস্ত হতে পারছি না যে, তিনি জাতিকে বহুলপ্রত্যাশিত ভুয়ামুক্ত মুক্তিযোদ্ধা তালিকা উপহার দিতে সক্ষম হবেন। প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মাননীয় মন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধে তাঁর নিজের অবস্থান সম্পর্কে ওয়াকিবহাল আছেন বলেই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে তাঁর কোনো মাথাব্যথা নেই!

অপরদিকে ধারাবাহিকভাবে সচেতন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে নানান উপায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা প্রণয়নের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও তিনিও এ ব্যাপারে একেবারেই নীরবতা পালন করে আসছেন! অথচ তিনিও বিরোধী দলে থাকার সময় মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় হাজার হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা, এমনকি রাজাররাও রয়েছে বলেও অভিযোগ করে এগুলোকে অপসারণের দাবি জানিয়ে ছিলেন। সেই তিনি একনাগাড়ে ১৩টি বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন থাকলেও এ ব্যাপারে কোনো ভূমিকা পালন করছেন বলে জানা যায়নি। উপরন্তু জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ২০১৬ সালে তাঁর হাত দিয়ে নতুন সংজ্ঞা সৃষ্টি করে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন এমন বিপুলসংখ্যক অমুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে আসছে! আমাদের কী দুর্ভাগ্য, বিপুলসংখ্যক পুরোনো ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তাড়ানোর কথা বলে, তাদেরকে বহাল রেখে নতুন করে বিপুলসংখ্যক অমুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বকীয়তা ও মর্যাদায় চরম কুঠার আঘাত হানা হচ্ছে। আরো কী দুর্ভাগ্য যে, বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটাটি যেমন তাঁর কন্যার হাত দিয়ে বাতিল করা হয়েছে, তেমনি বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযোদ্ধা সংজ্ঞাটিও তাঁর কন্যার হাত দিয়ে বদল করে, নতুন সংজ্ঞা সৃষ্টি করে ভুয়াদের মুক্তিযোদ্ধা হিশেবে স্বীকৃতি দিয়ে তাঁর হাত দিয়েই তা অনুমোদন করে নেয়ার আয়োজন চলছে। অপরদিকে বঙ্গবন্ধুর কন্যার ক্ষমতাকালে মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র বিক্রিসহ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের সম্পত্তি বিক্রির প্রস্তাবনা উত্থাপিত হলেও কেনো কী কারণে কারা কী উদ্দেশ্যে এসব করছে তিনি তলিয়ে দেখছেন কিনা তা তিনিই কেবল জানেন!

বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ছিলেন। তাঁর প্রদত্ত মুক্তিযোদ্ধা সংজ্ঞাটি আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ সংজ্ঞা। আমরা আমাদের শেষদিন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক মুক্তিযোদ্ধা সংজ্ঞার আলোকে মুক্তিযোদ্ধা নির্ধারণের দাবি জানিয়েই যাবো। মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধাদি যতোই দেয়া হোক বা না হোক, মুক্তিযোদ্ধা নামের মর্যাদাই আমাদের কাছে শিরোধার্য। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, বঙ্গবন্ধুর সংজ্ঞার মধ্যেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাবতীয় জাতীয় স্বকীয়তা ও মর্যাদা নিহিত। এটার সাথে কোনোই আপোস নয়।

লেখক : চেয়ারম্যান, একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।