দিলীপ চন্দ, ফরিদপুর : বহুল আলোচিত জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির বাড়ি হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার অন্যতম চার্জশিট ভুক্ত আসামী ফরিদপুরের সাবেক স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপি এর এপিএস এএইচএম ফুয়াদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এ বিষয়ে ১৩ ই অক্টোবর বুধবার সকালে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা (অপরাধ ও তদন্ত)।

সংবাদ সম্মেলনে জানা যায়, গত ১৩ ই অক্টোবর দিবাগত রাত ২.২০ মিনিটের দিকে ফরিদপুর ডিবি পুলিশ ও ডিএমপি ঢাকার ভাটারা থানা পুলিশের সহযোগিতায় বসুন্ধরার ২ নং রোড ৮ ব্লক সি এর ১৮৩ নং বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায় সাবেক মন্ত্রীর এপিএস এএইচএম ফুয়াদ দীর্ঘ প্রায় দশ বছর ধরে ফরিদপুর শহরে হেলমেট বাহিনী ও হাতুড়ী বাহিনী গঠন করে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি করে আসছিল। বিভিন্ন হাট বাজার ইজারা, বালু মহাল নিয়ন্ত্রন, ভূমি দখল, বাস স্ট্যান্ড ও শহরের সিএন্ডবি ঘাট দখলসহ পাসপোর্ট অফিস, বিআরটিএ অফিসসহ বিভিন্ন সরকারি অফিসে ত্রাস সৃষ্টি করে অঢেল সম্পদ অর্জন করেছে।

গত ২৬ শে জুন ২০২০ সালে ঢাকার কাফুরুল থানায় মানিলন্ডারিং আইনে একটি মামলাসহ তার বিরুদ্ধে মোট ৮ টি মামলা চলমান রয়েছে। তবে ২০১৬ সালে শহরের রাজবাড়ি রাস্তার মোড়ে ছোটন হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতারদেখানো হয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান পরিচালোনা করে আসছিল পুলিশ। বর্তমানে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর আদালতের মাধ্যমে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা।

উল্লেখ্য, ফরিদপুর জেলা নগরকান্দা উপজেলার দক্ষিন বিল নালিয়া গ্রামের মৃত মোজাহারুল হক চোকদারের পুত্র এএইচএম ফুয়াদ। গত বছর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির বাড়ি হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার পর ফরিদপুরে শুদ্ধি অভিযান শুরু হলে এই হাতুড়ি ও হেলমেট বাহিনির প্রধান ফুয়াদ গা ঢাকা দিয়েছিল। খন্দকার মোশারফ হোসেন এর এপিএস হওয়ায় নিজের ক্ষমতার অপব্যাবহার করে ফরিদপুর শহরে ত্রাস সৃষ্টি করেছিল ফুয়াদ। বর্তমানে ফুয়াদ পুলিশের বিশেষ অভিযানে ধরা পড়ায় ফরিদপুরের শুদ্ধি অভিযান আরো সফলতা পেলো বলে মনে করছে সচেতন মহল।

(ডিসি/এএস/অক্টোবর ১৩, ২০২১)