মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরা সদর উপজেলায় ৮ নং জগদল ইউনিয়ন পরিষদের আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে দুই চেয়ারম্যান র্প্রাথীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন।

দ্বিতীয় তপসিলে মাগুরা সদর উপজেলার জগদল ইউনিয়ন পরিষদে আগামী ১১ নভেম্বর ভোট গ্রহণ হবে। ১৭ অক্টোবর এখানে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন।

সংঘর্ষে নিহতরা হলেন জগদল গ্রামের হলেন লুৎফল রহমান মোল্যার ছেলে ইমরান মোল্যা (২৫), ফজলে করিম মোল্যার ছেলে রহমান মোল্যা (৫৫),শাহাবাজ উদ্দিনের ছেলে কবির হোসেন মোল্যা (৫০)ও তাঁর আরেক ছেলে সবুর হোসেন মোল্যা(৫২)।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মাগুরা সদরের জগদল ইউনিয়নে দ্বিতীয় তপসিলে আগামী ১১ নভেম্বর ভোট হওয়ার কথা। বরতমান চেয়ারম্যান মো: রফিকুল ইসলাম আয়ামী লীগের মনোনয়ন ও নৗকা প্রতিক পান। সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

উভয় চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে নিরবাচন শুরুর পর থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আজ বিকেলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বরতমান চেয়ারম্যান রফিকের সমর্থক নজরুল ইসলাম মেম্বর ও সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলামের সমর্থক সবুর মোল্যার লোকজনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ সংঘর্ষ শুরু হয়। সংরঘরষে দুই পক্ষ দেশী ধারালো অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায়।পুলিশ প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। এদের কয়েকেজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুইজনক আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েচে। বাকিরা মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলে চারজন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ইমরান রফিক চেয়ারম্যান, রহমান, কবিরও সবুর জাহিদের সমর্থক। এর মধ্যে কবির ও সবুর আপন দুই ভাই। নিহত সবার বাড়ি জগদল গ্রামে।

এলাকায় থমথেমে পরিস্থিতি বিরাজ করেছে। গ্রাম এখন জনশূন্য হয়ে পড়েছে। পুনরায় হামলা ও লুটপাটের ভয়ে অধিকাংশ লোকজন মালপত্রসহ অন্যত্র চলে গেছেন। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম জানান, চার জনের লাশ উদ্ধার করে মরগে পাঠানো হয়েছে । নিহতের সবার শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলে তিনি জানান।

(এমএইচএল/এএস/অক্টোবর ১৬, ২০২১)