আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, তালেবানের পক্ষ থেকে তাকে জানানো হয়েছে যে, খুব শিগগিরই মেয়েরা মাধ্যমিক স্কুলে যাওয়ার অনুমতি পাবে। সব আফগান মেয়েরাই পড়ালেখার সুযোগ পাবে বলে তালেবানের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের উপপ্রধান ওমর আবদিকে জানানো হয়েছে। শনিবার (১৬ অক্টোবর) পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

গত সপ্তাহে কাবুল ভ্রমণ করেছেন ইউনিসেফের উপপ্রধান ওমর আবদি। জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ফিরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে পাঁচটিতে এরই মধ্যে মেয়েদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

সব মেয়েরা যেন স্কুলে যেতে পারে সেজন্য একটি কাঠামো তৈরির কাজ করছে তালেবান সরকার। যা আগামী দুই এক মাসের মধ্যেই ঘোষণা দেওয়া হতে পারে। ওমর আবদিকে এ কথা জানিয়েছেন তালেবান সরকারের শিক্ষামন্ত্রী।

তালেবানের সঙ্গে আলোচনার সময় আবদি মেয়েদের পুনরায় বিদ্যালয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বারোপ করছেন। তালেবানকে বোঝাতে চেষ্টা করেছেন যে, এটা দেশ ও নারীর জন্য গভীর সংকট।

ইউনিসেফের এই উপপ্রধান যখন কাবুলে ছিলেন তখন তিনি একটি শিশু হাসপাতাল ভ্রমণ করেন এবং পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের দেখে তিনি হতবাক হয়ে যান।

তিনি বলেন, আফগানিস্তানের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও সামাজিক পরিষেবাসমূহ ভেঙে পড়ার দ্বারপ্রান্তে। হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় সরবরাহ ব্যবস্থা কমে গেছে। হাম ও পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। দেশটিতে করোনাভাইরাস ও পোলিও সমস্যা এখনো উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ছিল তালেবান। সে সময় নারীদের স্কুল-কলেজে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়। ঘরের বাইরে নারীদের কাজ করার সুযোগ ও স্বাভাবিক জীবনকে রুদ্ধ করে দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের পর এ বছরের ১৫ আগস্ট ফের দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। এর মধ্যেই ছেলেদের স্কুল খুলে দেওয়া হলেও নারীরা এখনও স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। সে কারণে নারীদের শিক্ষা এবং কাজের সুযোগ দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তালেবানকে চাপ দিয়ে আসছে।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ১৬, ২০২১)