এ কে আজাদ, রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের  স্লুইচ গেইট গুলোতে অবৈধভাবে দখল করে মাছ শিকার করছে। এতে স্থানীয় মৎস্যজীবিরা পড়েছে চরম বিপাকে। প্রভাব খাটিয়ে এসব  স্লুইচ গেইট অবৈধ দখলে থাকলেও প্রশাসনের নেই কোন উদ্যোগ। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

জানা গেছে, উপজেলার নারুয়া, ইসলামপুর, নবাবপুর, বহরপুর, বালিয়াকান্দি, জামালপুর ও জঙ্গল ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার স্লুইচ গেইট দখল করে মাছ শিকার করছে একটি প্রভাবশালী মহল। স্লুইচ গেইট গুলো দখল করে মাছ শিকার করার ফলে স্থানীয় লোকজন মাছ ধরতে পারছে না।

জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আরশেদুল মিয়া। ওই অভিযোগে বলেন, বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের ইরশালবাড়ী, বকচর, নিশ্চিন্তপুর, বাহিরচর, দক্ষিন ইরশালবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা। ইরশালবাড়ী স্লুইচগেটে অবৈধভাবে বছরের পর বছর ধরে পানির গতিরোধ করে বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের শ্যামল মাঝি সুতে দিয়ে মাছ স্বীকার করছে। সে ইচ্ছামত স্লুইচগেট বন্ধ-খুলে মাছ স্বীকার করে। বিভিন্ন সময় আমরা এলাকাবাসী ভাটিখাল থেকে স্যালো মেশিন দ্বারা পানি নিয়ে কৃষি সেচ দিতে গেলেও শ্যামল টাকা দাবিকরে।

বিভিন্ন সময় বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট পানির গতিরোধ করে সুতে দিয়ে মাছ স্বীকারের মৌখিক অভিযোগ করলেও সেটি কোন কার্যত ব্যবস্থা নেয়া হয় না। স্লুইচগেটে অবৈধ সুতে স্থাপন করায় মাছের ডিমসহ সব ধরনের মাছ ধরা পরে। এতে করে ইরশালবাড়ী, বকচর, নিশ্চিন্তপুর, বাহিরচর, দক্ষিন ইরশালবাড়ী গ্রামের খালের সকল ধরনের মাছ সুতেতে ধরা পরে। এতে করে স্লুইচগেটের ভাটির দিকে এলাকার মৎস্যজীবীরা মাছ পায় না। গত শুক্রবার সকাল অনুমান ১০টার সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হাসিবুল হাসান ভাটিখালে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। সেখানে মৎস্যজীবী অতিদরিদ্র ৩ জনের চায়না দুয়ারী জাল পুড়িয়ে দেয়া হয়। আমরা এলাকাবাসী এ ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট স্লুইচগেটে অবৈধভাবে পানির গতিপধ বন্ধ ও অবৈধ জাল দিয়ে মাছ ধরার বিষয়টি অবগত করা হয়।

এভাবেই উপজেলার ৭টি ইউনিয়নেই অবৈধ ভাবে স্লুইচ গেইট গুলো দখল করে মাছ শিকার অব্যহত রেখেছে। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

(একেএ/এএস/অক্টোবর ১৭, ২০২১)