এ কে আজাদ, রাজবাড়ী : বাংলার দক্ষিণঞ্চলের ২১ জেলার  প্রবশেদ্বার দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে বসে থাকতে হয় চালক ও যাত্রীদের। এর কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছে ফেরিতে যাতায়াতকারী চালক ও যাত্রীরা।

দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়। ঘাটে ফেরি ভিড়ানোর অনেক আগেই পল্টুনে যানবাহনের সারি রয়েছে। সংযোগ সড়কেও রয়েছে অতিরিক্ত যানবাহন। যে কারণে প্রতিটি ফেরি থেকে আনলোডের সময় যানবাহনগুলো আটকা পরে। এতে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হয়। এসময় পল্টুনে থাকা গাড়ির টিকিট চেক করা ব্যক্তিদের দেখা যায় প্রত্যেক চালকের কাছ থেকে উৎকোচ নিতে।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া শাখার ব্যবস্থাপক(বাণিজ্য) মো. শিহাব উদ্দিন জানান, পল্টুন থেকে টাকা নেওয়ার কোন অভিযোগ আমার কাছে নেই। তবে প্রতি গাড়ি থেকে বকশিস হিসেবে ১০/২০ টাকা করে নিয়ে থাকে।

শাখার ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিনের কথা অনুসারে প্রতি গাড়ি থেকে ১০ টাকা করে নেওয়া হলে ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার গাড়ি ফেরি পার হলে প্রতিদিন ৪০ হাজার টাকা উৎকোচ নেওয়া হয়। যা মাসে এসে দাঁড়ায় ১২ লাখ টাকা এবং বছরে ১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।

রাজবাড়ী থেকে ঢাকাগামী জসিম নামের এক ব্যক্তি জানান, মহাসড়কে যানজট। যে কারণে ২ ঘণ্টা যাবৎ বসে আছি রাস্তায়। ৫মিনিটের রাস্তায় ২ ঘণ্টায়ও যেতে পারি না।

তিনি আরও বলেন, পয়েন্টে পয়েন্টে অব্যবস্থাপনা থাকার কারণে অপ্রত্যাশিত যানজট। যে কারণে যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকা থেকে চরম দুর্ভোগ শিকার হচ্ছে চালক ও সাধারণ যাত্রীরা। লোকসান গুনতে হয় সাধারণ ব্যবসায়ীদের।

যাত্রীবাহী বাসের এক চালক বলেন, জরুরি যানবাহনগুলো পার না করে সিরিয়াল অমান্য করে অর্থের বিনিময়ে ট্রাক পার করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, অনৈতিক অর্থ আদায় করার কারণে প্রতিনিয়ত দৌলতদিয়া ঘাটে অপ্রত্যাশিত যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে হাজার হাজার কর্ম ঘণ্টা ফেরি ঘাটেই নষ্ট হয়।

(একে/এসপি/অক্টোবর ১৮, ২০২১)