নিজস্ব প্রতিবেদক : বিনামূল্যের আমন চারায় এবার চাষ হচ্ছে প্রায় ১২’শ বিঘা জমি। বিনামূল্যের এসব চারা এরইমধ্যে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা শুরু হয়েছে। বন্যা পরবর্তী কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচি হিসেবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নিজস্ব উদ্যোগে দেশের ৫ জেলা এই কার্যক্রমের আওতায়ভুক্ত হয়েছে।

গত শুক্রবার জামালপুরের ইসলামপুর এবং শনিবার কুড়িগ্রামের ওলিপুরের কৃষকরা বিনামূল্যের চারা পেয়েছে। চলতি সপ্তাহে অবশিষ্ট ৩ জেলা (বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সিরাজগঞ্জের কাজীপুর এবং দক্ষিণ সুনামগঞ্জের কৃষকরা} বিনামূল্যের চারা পাবেন। এবার ৫ জেলার ১ হাজার ১৩৮ জন কৃষককে ১ হাজার ১৩৮ বিঘা জমি চাষের জন্য প্রয়োজনীয় বিনামুল্যের চারা সরবরাহ করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই)।
জানতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ পরিচালক (প্রশাসন-২) কৃষিবিদ নাজমুল আহসান গতকাল সন্ধ্যায় টেলিফোনে বলেন, ‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে রোপা আমন চারা বিতরণ করা হচ্ছে। এরইমধ্যে গত শুক্রবার জামালপুরের ইসলামপুরের কৃষকদের মাঝে চারা বিতরণ করেছেন কৃষি সচিব ড. নাজমুল ইসলাম এবং শনিবার কুড়িগ্রামের ওলিপুরে চারা বিতরণ করেছেন যুগ্ম সচিব মো. মোশারফ হোসেন।’ তিনি জানান, ‘কৃষি মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুুরীর নির্দেশে এবং কৃষি সচিব ড. নাজমুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে এই কার্যক্রম নিয়েছে ডিএই।’

এদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গত দুই দিনের চারা বিতরণের সময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আব্বাছ আলী, রংপুর এটিআইএর অধ্যক্ষ প্রতীপ কুমার মন্ডল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুড়িগ্রাম ও জামালপুরের উপ-পরিচালক ও উপজেলা কৃষি অফিসারসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। চলতি সপ্তাহে সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে বিনামূল্যের চারা বিতরণের জন্য কৃষি মন্ত্রীর যাওয়ার কথা রয়েছে।
ডিএই’র হিসেবে, চলতি মৌসুমে ৫২ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ ও ১ কোটি ৩০ লাখ টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এরইমধ্যে ৫০ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে। এবার ছাড়িয়ে যেতে পারে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা, আর হতে পারে লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত উৎপাদনও।

(অ/সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৪)