রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তায় পানি হু হু করে বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে চরাঞ্চলে সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এদিকে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হাজার হাজার হেক্টর জমির ধানক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।

বুধবার (২০ অক্টোবর) বিকাল ৩ টায় কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, বুধবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে কাউনিয়া পয়েন্টে ৩ সন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার বিকাল ৩টায় ওই পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তিস্তার পানি বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।

এদিকে রাজারহাট উপজেলা প্রশাসন চরের মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানান। এজন্য নৌকা ও আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্থুত রাখা হয়েছে।

ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউপি চেঢযরম্যান রবীন্দ্রনাথ কর্মকার জানান, আকস্মিকভাবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তার চরাঞ্চলের বাড়ি ঘরে পানি উঠেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে সহস্রাধিক পরিবার।

এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার চর খিতাব খাঁ, চর গতিয়াসাম, চর বিদ্যানন্দ, চর রাম হরি, চর তৈয়বখাঁ গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেন, উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আজ বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি পাবে। আগামী ২৪ঘন্টা পর পানি কমতে শুরু করবে।

বুধবার সন্ধ্যায় রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে তাসনিম বলেন, তিস্তার পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিকাল ৪টায় কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২৫ সিন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। চরাঞ্চলের মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এজন্য আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। পানিবন্দি পরিবারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

(পিএস/এসপি/অক্টোবর ২০, ২০২১)