আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নাইজেরিয়ার একটি গীর্জার ভবন ধসে কমপক্ষে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্দরনগরী লাগোসের ইকোটানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

ন্যাশনাল ইমারজেন্সি ম্যানেজমেন্ট অ্যাজেন্সির (এনইএমএ) সমন্বয়কারী ইব্রাহিম ফেরিনলোয়ি শনিবার বলেন, ভবন ধসে আটকে পড়া ১২৪ জনকে তারা জীবিত উদ্ধার করেছেন।

এনইএমএ থেকে বলা হয়, গীর্জা ভবনটি দুই তলা বিশিষ্ট। ভবনের তলা আরও বাড়ানোর জন্য কিছুদিন ধরেই নির্মাণ কাজ চলছিল।

এখানে টিবি জোসুয়া নামে এক আধ্যাতিক ধর্মগুরু ধর্ম প্রচার করে থাকেন। অনুসারীরা তাকে ‘নবী’ বলেই মানেন। নাইজেরিয়া ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু অনুসারী প্রতি সপ্তাহেই তার কাছে আসেন। ইকোটানের ওই গীর্জায় প্রার্থনা করেন, জোসুয়ার বক্তৃতা শোনেন।

দুর্ঘটনার পর জোসুয়া তার ফেসবুকে লিখেছেন, গীর্জা ভবন ধসে যে হতাহতের কথা মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে তা সঠিক নয়।

জোসুয়ার দাবি, ‘হাতে গোনা কয়েকজন আহত হয়েছেন, যাদেরকে সুস্থশরীরে উদ্ধার করা হয়েছে।’

নাইজেরিয়ার একটি পত্রিকা জোসুয়াকে উদ্ধৃত করে লিখেছে, তুলনামূলক কম উচ্চতায় উড়ন্ত এক বিমান বারবার ভবনটিকে চক্কর দিচ্ছিল। জোসুয়ার ধারণা, গীর্জাধসের সঙ্গে ওই বিমানেরই সম্পর্ক আছে।

উল্লেখ্য, লাগোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছেই ইকোটান অবস্থিত।

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।

(ওএস/এইচআর/সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৪)