স্টাফ রিপোর্টার : সাম্প্রদায়িক শক্তির ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় নতুন রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে মাঠে নামছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল। আগামী অক্টোবর মাসে ১৪ দলের অন্তর্ভুক্ত দলগুলোকে নিয়ে প্রতিনিধি সম্মেলনের কথা ভাবছেন জোটের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা।

১৪ দলের মধ্যে যে সমন্বয়হীনতা রয়েছে এই প্রতিনিধি সম্মেলনের মধ্য দিয়ে তা দূর হবার সঙ্গে একটি ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে জোটটি আত্মপ্রকাশ করতে পারবে বলে আশা করছেন জোট শরিকরা।

২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলার পর স্বাধীনতার সপক্ষের দলগুলোর একই ছাদের নিচে আসার চিন্তা থেকে ২০০৫ সালে প্রথম আওয়ামী লীগ ও সমমনা সংগঠনগুলো একজোট হয়ে গঠন করে ১৪ দল। জোটের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় যাবার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে কিছু কিছু বিষয়ে মতানৈক্যের কারণে শরিকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হলেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও জঙ্গিবাদ নির্মূলের মত ইস্যু সামনে থাকায় তা কখনোই বড় হয়ে উঠতে পারেনি।

স্বাধীনতাবিরোধীরা ১৪ দলকে দুর্বল করতে বারবার অপচেষ্টা চালালেও ১৪ দল একটি পরীক্ষিত রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে বলে মনে করেন শরিক দলের নেতারা।

মঈনউদ্দিন খান বাদল বলেন, যেই প্রয়োজনে ১৪ দলের উৎপত্তি, জাতির জীবনে তা যতদিন ফুরিয়ে না যাবে ১৪ দল এর ভেতরকার কোন সমস্যাই ততদিন আচর কাটবেনা।

ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ১৪ দল ইতিমধ্যেই নিজেদের একটি পরিক্ষিত রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে তুলে ধরেছে, তাই তার ভেতরকার সমস্যা কখনোই দেশের চেয়ে বড় হয়ে উঠবেনা।

এদিকে, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম জানান, আগামী অক্টোবরে রাজধানীতে ১৪ দলের প্রতিনিধি সম্মেলন আয়োজনের কথা ভাবছেন তারা। এ-সম্মেলন থেকে জোটের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা হটাতে নতুন রাজনৈতিক কর্মকৌশলের দিক নির্দেশনা দেবেন।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, খুব দ্রুতই ১৪ দলের একটি প্রতিনিধি সম্মেলন আয়োজন করে তৃণমূলের নেতাদের দিকনির্দেশনা দেবেন সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তির সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে প্রতিবছরই এমন প্রতিনিধি সম্মেলন করা উচিত বলে মনে করেন জোটের শরিকেরা।

ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ১৪ দলের মাঝে সমন্বয়হীনতা দূর করার জন্য এই প্রতিনিধি সম্মেলন খুব দরকার, এতে জোটের ঐক্য আরো বাড়বে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

মঈনউদ্দিন খান বাদল বলেন, ১৪ দলকে আমরা এখনো তৃণমূলে নিয়ে যেতে পারিনি, তাই নেত্রীর উচিত অন্তত বছরে একটি সম্মেলন আয়োজন করা। এতে তৃণমূলের নেতাদের মাঝে এই উপলব্ধি আসবে যে তারাও আমাদেরই অংশ।

এ প্রতিনিধি সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ১৪ দলীয় নেতাকর্মীরা জনগণের সঙ্গেও নতুন মেলবন্ধন রচনা করতে পারবেন বলে আশা করেন ১৪ দলের নেতারা।

(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৪)