বরগুনা প্রতিনিধি : চলতি বর্ষা মৌসুমে চালিতাবুনিয়া-পিপুলিয়া সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্ঠিহওয়া বড়বড় গর্তে পানি ও কাদা জমে চলাচলে অনুপোযোগী হয়ে পরেছে। এতে ভোগান্তিতে পরেছে এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী পরিবহনগুলো। এই সড়কটি এলজিইডি নির্মান করলেও সেটি বর্তমানে সড়ক ও জনপদ বিভাগকে হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলায় দুই দপ্তরের দো’টানায় সংস্কারে নেওয়া হচ্ছেনা কোন উদ্যোগ। 

জানা গেছে, ২০১১-২০১২ অর্থ বছরে দুই কোটি ৩০ লাখ ৮ হাজার ৫৫৯ টাকা ব্যায়ে চালিতাবুনীয়া-পিপুলীয়া ২১ কিলোমিটার বেহাল সড়কটি সংস্কার করা হয়েছিল।

এলজিইডির আওতাধীন এ জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি ২০১২ সালের জুন মাসের আগেই তিনটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়। ওই সময় বর্ষা মৌসুম জুড়ে দায়সারা ভাবে নির্মাণ কাজ সম্পন্নের একবছরের মধ্যে সড়কটি বেহাল হয়ে খানাখন্দে পরিনত হতে শুরু করে।

এবছর বর্ষা মৌসুমের আগেই সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এমন বেহাল অবস্থার মধ্যে সড়কটি এলজিইডির আওতাধীন থেকে বর্তমানে সড়ক ও জনপথ বিভাগে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ফলে বেহাল সড়কটি সংস্কারে প্রশাসনিক জটিলতায় পড়েছে। এতে সড়ক সংস্কারে দীর্ঘসূত্রতা ও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে সড়কটি ঘুরে দেখােেছ,বরগুনার বামনা উপজেলার চালিতাবুনীয়া ফেরীঘাট থেকে পিপুলীয়া বাজার পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার সড়ক জুড়ে খানাখন্দ। সড়কের চালিতাবুনীয়া ফেরীঘাট থেকে হাওলাদার বাড়ি পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়কের পীচ ও পাথর উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব খানাখন্দ এখন কাদাজলে পরিপূর্ণ।

এছাড়া ২১ কিলোমিটার সড়কের ঢুষখালী, পশ্চিমসফিপুর, সবদারপুল, সোনাখালী,কালাইযা, জয়নগর,জাফ্রাখালী, হোগলপাতি,উত্তর কাকচিড়া ও পিপুলীয়া বাজার এলাকার সড়কের বেহাল দশা। এসব স্থানে সড়কের মাঝখানে গর্তের কারনে যানবাহন ও পথচারীদের চলচলে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে। এ সড়কের বেহাল স্থানগুলোর গর্তে যাত্রী ও পন্যবাহী গাড়ি আটকে জদুর্ভোগের সৃষ্টি করছে।


কাকচিড়া-বামন-বরিশাল রুটের বিআরটিসি বাস চালক মো. বাহাদুর মিয়া বলেন,এত টাকায় রাস্তা সংস্কার কইরা আমাগো কোন লাভ হয় নাই। সংস্কারের পর পরই গাড়ির চাকায় উঠে গেছে পিচ ও পাথর। এবছর টানা বৃষ্টিতে রাস্তা জুড়ে আবার সেই গর্ত। এতে গাড়ী চালানো অনেক কষ্ট ও ঝুঁকির। বেহাল রাস্তার কারনে গাড়ির যন্ত্রাংশ প্রায় বিকল হয়ে পড়ছে।

এ ব্যাপারে বরগুনা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল হোসেন সড়কটি বেহাল দশার কথা স্বীকার করে জানান, এ সড়ক এখন সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় দেওয়া হয়েছে। এসংক্রান্ত গেজেটে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে । সড়কটি এলজিইডি থেকে সওজে হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলায় এখই সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছেনা।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরক্ত দায়িত্ব) মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, শুনেছি ওই সড়কটি এ্লজিইডি থেকে সড়ক ও জনপথ বিভাগে হস্তান্তর করা হবে । তবে এ বিষয়ে এখনও কোন কাগজপত্র আমাদের দপ্তরে আসেনি।

(এমএইচ/এএস/সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৪)