বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে আহত করার জের ধরে উত্তেজিত জনতা উপজেলা বিএনপি অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।

অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে ফায়ার ব্রিগেড ঘটনাস্থলে আসার আগেই আগুন নিভে ফেলেন স্থানীয় লোকজন।ঘটনাটি অফিস ভাংচুরের জন্য বিএনপি ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে। তবে ছাত্রলীগ বিএনপির এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ঘটেছে গত শনিবার রাতে বড়লেখা পৌর শহরের হাজীগঞ্জবাজারে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, গত শনিবার সন্ধ্যায় পূর্বে সংঘটিত ঘটনার জের ধরে বড়লেখার পাখিয়ালা নামক স্থানে ছাত্রদল নেতা জাবের আহমদ (২০) সহ আরো ৪/৫ জন ছাত্রদল কর্মী অতর্কিতভাবে পৌর ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক নেতা তানবীর আহমদ তানেরকে (১৯) কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করে। গুরতর আহত তানবীর আহমদ তানেরকে প্রথমে বড়লেখা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে শারীরীক অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনার খবর পেয়ে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা বড়লেখা পৌর শহরের হাজীগঞ্জবাজারে জড়ো হয় এবং ছাত্রলীগ নেতা তানেরের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা রাত আটটার দিকে পৌর শহরের দক্ষিনবাজারে বিএনপি কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে দরজা-জানালা করে এবং অফিসের ভিতরের চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করে।

এ সময় বিএনপি অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। খবর পেয়ে ফায়ার ব্রিগেড ঘটনাস্থলে আসার আগেই স্থানীয় জনতা আগুন নিভে ফেলে। অফিস ভাংচুরের সময় বিএনপির কোন নেতাকর্মী অফিসে ছিলেন না । পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

উপজেলা বিএনপি সভাপতি আব্দুল হাফিজ জানান, শনিবার রাতে আমাদের নেতা-কর্মীদের অনুপস্থিতিতে ছাত্রলীগ বিএনপির অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

তবে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানিমুল ইসলাম বিএনপির এ অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমরা ছাত্রলীগ নেতা তানেরের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছি উত্তেজিত জনতা বিএনপির অফিস ভাংচুরের ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা জড়িত নয়।
রবিবার বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আবুল হাশেম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় থানায় কোন মামলা হয়নি।

(এলএস/এএস/সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৪)